রসগোল্লা বা চমচম খেলে মিষ্টি লাগে। আবার মরিচ মুখে দিলেই ঝাল লাগে— এ কথা ছোট-বড় সবারই জানা। রসগোল্লা মিষ্টি লাগে কারণ এতে চিনি থাকে। কিন্তু মরিচ?
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, মরিচ খেলে কেন ঝাল লাগে? এতে এমন কী আছে যা ঝাল অনুভূতি সৃষ্টি করে?
বিজ্ঞাপন

ইতিহাস অনুযায়ী প্রায় ৭ হাজার আগে আমেরিকায় আধুনিক মানুষের পূর্ব পুরুষরা আসেন। মরিচের আগমনও বেশ পুরনো। প্রায় ছয় হাজার বছর আগে আদি আমেরিকানরাই মরিচ চাষ শুরু করেন। চিলি, কলম্বিয়াতে সম্ভবত শুরু হয়েছিল পৃথিবীর আদিমতম এই মসলার চাষ। এরপর তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোতে।
অন্য একটা মতে দাবি, আট হাজার বছর আগে মেক্সিকোতে মরিচ চাষ শুরু হয়। এর উৎপত্তি সম্ভবত এক থেকে দুই কোটি বছর আগে টমেটো, তামাক জাতীয় গাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন
মরিচের ঝালের জন্য প্রধানত যে অণু দায়ী তার নাম ক্যাপসাইসিন (Capsaicin)। এই উপাদানটি জিহ্বার স্বাদ গ্রন্থিতে উদ্দীপনা জাগায়। ক্যাপসাইসিনের জন্যই মরিচে ঝাল লাগে। যে মরিচে এর পরিমান যত বেশি, সেই মরিচে ঝালের পরিমানও বেশি হয়ে থাকে।
পৃথিবীর সবচে ঝাল মরিচ ‘ক্যারোলাইনা রিপার’। এটি দেখতে অনেকটা আমাদের পরিচিত নাগা মরিচ বা বোম্বাই মরিচের মতো। ঝাল পরিমাপের একক হচ্ছে SHU। সাধারণ মরিচের ঝাল হয় ২,৫০০ থেকে ৮০০০ SHU। ক্যারোলাইনা রিপার মরিচের ঝাল ১৫,৬৯,৩০০ SHU।
>> আরও পড়ুন: রান্নায় ঝাল কমানোর উপায়
>> আরও পড়ুন: লবণের বিকল্প হিসেবে রান্নায় যা ব্যবহার করতে পারেন
>> আরও পড়ুন: সরিষার তেলে ঝাল মাংস রেসিপি
এই মরিচটি উদ্ভাবন করেন এড কারি নামে এক ব্যক্তি। ২০১৩ সালে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল মরিচ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ যায়গা করে নেয়।
এনএম

