সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ কোলেস্টেরল ইত্যাদি। স্ট্রোকের কারণে অকালে ঝরছে অনেক প্রাণ। তাই এই সমস্যাটি নিয়ে সচেতনতা জরুরি।
প্রায়ই ব্রেন স্ট্রোকের কথা শোনা যায়। এটি প্রাণঘাতী হলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেন স্ট্রোক হলে কয়েক সেকেন্ড সময়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা নিলে বড় ক্ষতি সহজেই এড়ানো যায়।
বিজ্ঞাপন
স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ
যদি কখনো দেহের ভারসাম্য নিয়ে সমস্যায় পড়েন তাহলে সতর্ক হয়ে যান। নিজে থেকে হাঁটতে না পারা বা শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা স্ট্রোকের লক্ষণ। হঠাৎ করে মুখমণ্ডলের পরিবর্তন হলে, এই যেমন ঠোঁট বেঁকে যাওয়া কিংবা কোনো অংশ অসাড় হওয়া স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। কথা জড়িয়ে গেলে সাবধান হোন।
>> আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে বাঁচাতে পারে ছোট্ট এই কাজটি
ব্রেন স্ট্রোকের ক্ষেত্রে দ্রুতহারে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস হতে থাকে। তার কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। স্ট্রোক করার কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে, আপৎকালীন ওষুধ ও ব্যবস্থার মাধ্যমে মস্তিষ্কের সেই ক্ষতি ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
কিছু বিষয়ে নজর রাখলে স্ট্রোকের মতো বিপদ এড়ানো সম্ভব। দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে দেওয়া যাবে না। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং মানসিক অবসাদ থেকে দূরে থাকা জরুরি।
নজর দিতে হবে ডায়েটে
দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং খাওয়ার ওপর স্ট্রোকের বিপদের মাত্রা নির্ভর করে। খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কার্বোনেটেড সফট ড্রিঙ্কস ইত্যাদি বাদ দিন। এগুলো দেহের কোলেস্টেরল, ফ্যাট, সুগার, রক্তচাপ ইত্যাদির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা স্ট্রোকের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
ঠান্ডা-গরমের তারতম্য
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে ঠান্ডা আর গরমের তারতম্যে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। শীতে হঠাৎ ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে বিপদ হতে পারে। তাই, মাথায় খুব ঠান্ডা পানি দেওয়ার আগে সর্তক হতে হবে।
>> আরও পড়ুন: চোখে ছানি পড়তে পারে কম বয়সেও
এসব বিষয় খেয়াল রাখার পাশাপাশি সতেজ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলে এবং শরীরচর্চার অভ্যাস রাখলে স্ট্রোকের সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায়।
এনএম