শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

হার্ট অ্যাটাকের যেসব লক্ষণ বেশিরভাগ মানুষ অবহেলা করেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২, ০৯:৩২ এএম

শেয়ার করুন:

হার্ট অ্যাটাকের যেসব লক্ষণ বেশিরভাগ মানুষ অবহেলা করেন

একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হার্ট অ্যাটাক। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। সঠিক সচেতনতা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণই পারে এই রোগের হার কমাতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষই রোগটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। তাই লক্ষণ প্রকাশ পেলেও বুঝতে পারেন না কিংবা অবহেলা করেন। 

হার্ট অ্যাটাক কী? 


বিজ্ঞাপন


আমাদের সারা দেহের মতো হৃদপিণ্ডেরও রক্তের প্রয়োজন হয়। তিনটি রক্তবাহী নালীর মাধ্যমে রক্ত হার্টে পৌঁছায়। রক্তের নালীতে বাধা বা ব্লক সৃষ্টি হলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই সমস্যাকেই হার্ট অ্যাটাক বলে। 

heart attackদিন দিন এই রোগে মৃত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসই এর জন্য দায়ী। প্রতিটি মানুষ নিজের জীবনযাত্রায় নজর দিলেই ভালো থাকতে পারবেন। নয়তো সমস্যা আরও বাড়বে। 

কোন বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে?

আগে ৪০ থেকে ৫০ বছরের ওপরে এই রোগ দেখা যেত। এখন আর তা নেই। বর্তমানে অনেক কম বয়সীরাও হৃদপিণ্ডজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এমনকি প্রাণও হারাচ্ছেন অনেকে। সিগারেট খাওয়া, ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি এই রোগের মুখ্য কারণ। 


বিজ্ঞাপন


heart attackকী কী লক্ষণ থাকে?

হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বুকে ব্যথা হওয়া। বুকের মাঝে বা বাঁ দিকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এই ব্যথা একসময় বাঁ হাত হয়ে চোয়ালের দিকে আসে। এসময় প্রচুর ঘাম হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। 

এই লক্ষণগুলো বেশিরভাগ মানুষই অবহেলা করেন। ফলে পরবর্তীতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এমন কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই রোগীকে সরাসরি হাসপাতালে নিতে হবে। তাহলে হয়ত বাঁচানো সম্ভব হবে। 

heart attackরোগ নির্ণয় করা হয় কীভাবে? 

লক্ষণসহ রোগী হাসপাতালে এলে প্রাথমিকভাবে ইসিজি করানো হয়। অনেকক্ষেত্রে ড্রপ আই ব্লাড টেস্ট করে দেখা হয়। তাতেও রোগ ধরা না পড়লে সিরিয়াল ইসিজি করতে হবে। 

চিকিৎসা কী?

হার্ট অ্যাটাক সন্দেহ হলেই রোগীকে অ্যাসপিরিন দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি স্ট্যাটিন জাতীয় ওষুধও দেওয়া হয়ে থাকে। চিকিৎসক জিভের নিচে সরবিট্রেটও রাখার পরামর্শও দিতে পারেন। এভাবে প্রাথমিক সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার পর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস করানো হয়। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজটি করে থাকেন।

heart attackহার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে করণীয় কী? 

ডায়েট ও জীবনযাত্রা অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ থাকলে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা দৌড়ঝাঁপ করা থেকে বিরত থাকুন। সিগারেট বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ুন। 

দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে হার্ট অ্যাটাক। তাই সুস্থ থাকতে এখনই সচেতন হোন। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর