নানারকম ব্যস্ততার কারণে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাপন সবটাই অসামঞ্জস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে শরীরের দিকে খুব একটা নজর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা বাসা বাঁধছে শরীরে।
হাড়ের শক্তি কমে যাওয়া বা হাড় ক্ষয় হওয়া এখন বেশ সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সুস্থতার জন্য হাড় মজবুত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই সমস্যাটির মুখ্য কারণ হলো ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। হাড় কমজোর হলে মাংসপেশী এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা বাড়তে থাকে।
বিজ্ঞাপন
এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা থেকে অনুমান করা যায় যে হাড়ের শক্তি কমে গিয়েছে বা হাড় ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।

চোয়ালের শক্তি কমে যাওয়া
হাড় দুর্বল হলে চোয়ালে সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের মাড়িতে যে হাড় থাকে, দাঁতের ওপর সেটি নিজের গ্রিপ করে রাখে। হাড় কমজোর হতে শুরু করলে বিনা কারণে মাড়ি থেকে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
বিজ্ঞাপন
মুঠি আলগা হয়ে যাওয়া
একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, হাতের ও কব্জির জোর কমে যাওয়া শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ প্রকাশ করে। কোনো জিনিস মুঠিতে ধরে রাখতে গিয়ে, কিছুক্ষণ পর যদি মুঠি আলগা হয়ে আসে, তাহলে বুঝবেন আপনার হাড় দুর্বল হয়ে গিয়েছে।

নখ ভেঙে যাওয়া
নখ বারবার ভেঙে যাওয়া মানে হলো দেহে ক্যালসিয়াম ও কোলাজেনের ঘাটতি রয়েছে। এই দুটি পৌষ্টিক তত্ত্ব, মজবুত হাড়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হয়। নখ দুর্বল হওয়া হাড় ক্ষয়ের প্রাথমিক লক্ষণ।
>> আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে বাঁচাতে পারে ছোট্ট এই কাজটি
মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথা
হাড়ের জন্য ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের এবং ভিটামিন ও মিনারেল অত্যন্ত জরুরি। এসবের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে এবং হাড়ে ব্যথা অনুভব হয়। এই ঘাটতি দীর্ঘদিন থাকলে পরবর্তীতে হাড়ের ক্ষয় শুরু হতে পারে।

শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে যাওয়া
হাড় দুর্বল হতে শুরু করলে অনেকসময় শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। হাড়ের ভেতর ফ্র্যাকচারের কারণে শরীরের পুরো ভার ভেতরের হাড় নিতে পারে না। কোনো ভার ছাড়াই একটু বয়স বাড়লে অনেকে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। এর কারণ তাদের শিরদাঁড়ার পাশের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
>> আরও পড়ুন: যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন কে’র ঘাটতি
ফিটনেসের ঘাটতি দেখা দেওয়া
দেহের ফিটনেসে ঘাটতি হলে বুঝবেন বোন মাস কমতে শুরু করেছে। গবেষণা অনুযায়ী, ওজন কমানোর ব্যায়ামে হাড়ের ক্ষতি কম হয় এবং ক্যালসিয়াম এবং হাড় তৈরি করার কশিকাগুলি মাধ্যমে মজবুত হার তৈরি হয়।

হার্টবিটের সংখ্যা
আমাদের হার্টবিটের গড় রেট হলো প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিটস। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রতি মিনিটে ৮০ এর বেশি পালস রেট তৈরি হয়, তাহলে পেলভিস এবং স্পাইনের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি তৈরি হয়। হৃদয় গতি আপনার ফিটনেসের স্তর জানিয়ে দেয়।
এই লক্ষণগুলোর বিষয়ে সতর্ক হোন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাহলে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
এনএম

