সকালে কম্পিউটারের সামনে বসা। তারপর কাজ চলছে তো চলছেই। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায় তা শেষ করতে করতে। এরপর সময়টা কাটে মোবাইল হাতে নিয়ে। ফলাফলে বাড়ছে কাঁধে ব্যথা। দীর্ঘসময় বসে কাজ করায় হাড় ও পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।
ঘাড় বা কাঁধের ব্যথায় ভুগছেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অসহ্য যন্ত্রণা হয় এতে। শুরুর দিকে সতর্ক না হলে এই ব্যথা দিন দিন বাড়তেই থাকে। বেশিরভাগ মানুষই কাঁধের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। সাময়িকভাবে ব্যথা কমলেও দেহের মারাত্মক ক্ষতি করে এটি। তাছাড়া দীর্ঘদিন খেলে একসময় পেইনকিলার আর কাজ করবে না।
বিজ্ঞাপন
এই বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা জরুরি। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই।
বরফ থেরাপি
কাঁধের যন্ত্রণা কমাতে দারুণ কাজে দেয় আইস বা বরফ থেরাপি। খুব সহজেই ব্যথা ও ফোলাভাব কমায় এটি। পেশি ও জয়েন্ট দুই ব্যথার ক্ষেত্রেই বরফ কার্যকরী। একটি তোয়ালেতে কয়েক টুকরো বরফ নিন। ব্যথার স্থানে ২০ মিনিট সেঁক দিন। দেখবেন ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে।
বরফের টুকরো না থাকলে একটি বোতলে বরফ জমিয়েও সেঁক দিতে পারেন। বাজারে আইস থেরাপির বিশেষ ব্যাগ পাওয়া যায়। সেগুলোও কাজে লাগাতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
গরম সেঁক
কাঁধে ব্যথার প্রাথমিক পর্যায়ে বরফ কাজে লাগলেও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমাতে কার্যকরী গরম সেঁক। পেশীর কাঠিন্যভাব কমায় এটি। কাপড় গরম করে সেঁক দিতে পারেন। আবার হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন চাইলে। গরম সেঁক দিলে ব্যথার স্থানের রক্তপ্রবাহ বাড়ে। ফলে ব্যথা কমে।
লবণ পানিতে গোসল
অবাক লাগলেও, লবণ পানিতে গোসল করার পদ্ধতিটি বেশ পুরনো। বহু যুগ ধরেই মানুষ ব্যথা কমাতে এই পদ্ধতিটি কাজে লাগিয়ে আসছে। লবণ পানিতে গোসল করলে পেশীর ব্যথা কমে। ফোলাভাব কমে অনেকাংশে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ পানিতে গোসল করলে দেহের রক্ত চলাচল বাড়ে। দিনে ৩০ মিনিট ব্যয় করতে পারেন এভাবে গোসল করতে। কাঁধের ব্যথা কমবে।
এছাড়া কাঁধের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিজের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোতেও পরিবর্তন আনুন। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার চোখ বরাবর আছে কিনা দেখে নিন। দীর্ঘসময় ধরে মোবাইল স্ক্রিনের দিকে ঝুঁকে থাকবেন না। ঘুমের কারণে কাঁধ ব্যথা হলে বিছানা আর বালিশ পরিবর্তন করুন।
ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো কাজে লাগানোর পরও যদি উপকার না পান তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘদিন শারীরিক জটিলতা বয়ে বেড়ালে তা বড় আকার ধারণ করতে পারে।
এনএম