সন্তান তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হোক— এমনটাই কামনা করেন সব বাবা-মা। তবে বুদ্ধি বাড়াতে কিংবা ভালো শিক্ষার্থী হতে স্মৃতিশক্তিটাও প্রখর হওয়া জরুরি। শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হলেও বেশিরভাগ অভিভাবকই মানসিক স্বাস্থ্যের খবর রাখেন না।
সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই বয়স থেকে মা-বাবা সচেতন থাকলে এবং কিছু সহজ উপায় কাজে লাগলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হবে দ্রুত। এমন কিছু উপায় চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন
বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন
করোনাকালে শিশুদের মধ্যে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। কমছে বই পড়ার পরিমাণ। এই বিষয়ে মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। বই পড়ার অভ্যাস কিন্তু স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ভীষণ জরুরি। পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্প ও ছড়ার বই পড়ার প্রতি শিশুকে উৎসাহী করে তুলুন। এতে তার জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। বুদ্ধিরও বিকাশ হবে।
আরও পড়ুন: যেসব খাবারে শিশু দ্রুত লম্বা হয়
বিজ্ঞাপন
কথা বলার সময় অঙ্গভঙ্গি
শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করুন। অনেক শিশুর মধ্যেই অঙ্গভঙ্গি নকল করার প্রবণতা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপায়ে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
আরও পড়ুন: আপনার সন্তান কি মুখে মুখে তর্ক করে?
গান শেখাতে পারেন
শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা করতে পারে গান। ছোটদের মনোযোগ বাড়াতে গান শেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা করাও ভাল। এতে বুদ্ধিও বাড়ে, মনও ভাল থাকে।
নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ
অবসর সময় শিশুর সঙ্গে নিজের ছেলেবেলার স্মৃতি ভাগ করে নিন। সেসব গল্প থেকে তাকে মজার মজার প্রশ্ন করুন। এতে শিশুর মনোযোগ যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বাড়বে স্মৃতিশক্তি। মাঝেমধ্যে মেমোরি গেম খেলাও শিশুর বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক হতে পারে।
শিশু যেন অনলাইন গেমে আসক্ত না হয় সেদিকে নজর দিন। যে খেলায় মাথা খাটাতে হয় এমন খেলায় উৎসাহী করুন। এতে তার মনোযোগ বাড়বে, বুদ্ধিও তীক্ষ্ণ হবে।
এনএম