মানুষ বাঁচে আশায়। কিন্তু জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যখন হতাশা এসে চলার পথ থামিয়ে দেয়। হারিয়ে যায় কাজের উৎসাহ। কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত জীবন তখন থমকে যায়। হতাশার সঙ্গে অনেককিছুই জড়িয়ে থাকে। এর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে পেশার।
গবেষণা ও বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে— কিছু কিছু পেশায় মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি চাপ ও হতাশায় (ডিপ্রেশন) ভোগেন। এর মূল কারণ হলো— অতিরিক্ত কাজের চাপ, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তাহীনতা, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক প্রত্যাশা।
বিজ্ঞাপন
কোন পেশার মানুষরা সবচেয়ে বেশি হতাশায় ভোগেন? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
১. সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী
সবসময় হতাশায় ভোগেন এমন ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে আছেন সাংবাদিক ও গনমাধ্যমকরমীরা। নিরন্তর চাপে থাকেই এই পেশায় কর্মরত ব্যক্তিরা। সেসঙ্গে থাকে সময়মতো কাজ শেষ করার তাগিদ, ঝুঁকি, নিরাপত্তাহীনতা ও চাকরি হারানোর ভয়। সব মিলিয়ে হতাশার মাত্রা বেশি থাকে এই ব্যক্তিদের।
বিজ্ঞাপন
২. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী
কর্মজীবন মানসিক চাপে দিন পার করে চিকিৎসকরা। রোগীর জীবন বাঁচানোর চাপ, লম্বা সময় ধরে কাজ করা, রোগীর মৃত্যু সামলানো, রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা—এসব কারণে তারা সবসময় ক্লান্তি ও হতাশা অনুভব করেন।
৩. শিক্ষক
মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তাদের হাতে থাকে। দায়িত্ব পালন, স্বল্প বেতন, সামাজিক চাপ, অবমূল্যায়ন— এসব কারণে শিক্ষকরা হতাশায় ভোগেন।
৪. আইটি পেশাজীবী ও কল সেন্টার কর্মী
বেশিরভাগ আইটির কাজ রাতে হয়। কিংবা দিন-রাতে সমান তালে কাজ চলতে থাকে। দীর্ঘসময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা, রাতজাগা শিফট, কাজের চাপ— মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। তখন এই পেশায় যুক্ত মানুষ হতাশায় ভোগেন।
৫. আইনজীবী ও আইন পেশাজীবী
আইনজীবীরাও হতাশায় ভোগেন। কঠিন মামলা, দীর্ঘসময় কাজ করা, মানসিক চাপ, ব্যর্থতার ভীতির মতো বিষয়গুলো হতাশা বাড়ায়।
আরও পড়ুন-
৬. শিল্পী, লেখক ও সৃজনশীল মানুষ
সৃজনশীল মানুষ কাজের প্রশংসা পেলে, কাজ পান না সহজে। কাজের অনিশ্চয়তা, স্বীকৃতি না মেলা, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং একাকীত্ব তাদের হতাশায় ফেলতে পারে।
৭. অর্থনৈতিক খাতের কর্মী (ব্যাংকার, শেয়ার মার্কেট পেশাজীবী)
দিনভরর আর্থিক লেনদেন মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিনের চাপ, লক্ষ্য পূরণের তাগিদ এবং আর্থিক ক্ষতির ভীতি— মানসিক স্বাস্থ্যে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। ফলে এই পেশায় যুক্ত ব্যক্তিরা হতাশায় ভোগেন।
এনএম
