ছোট হোক বা বড়— প্রতিটি মানুষই নিজের মতো করে ঘর সাজাতে চেষ্টা করে। বাড়ির বিভিন্ন অংশ সুন্দর সুন্দর জিনিস দিয়ে সাজান। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় বাথরুম বা টয়লেটের ক্ষেত্রে। বাথরুম থেকে দুর্গন্ধ বের হলে এর চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু হয় না। এই সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
বাথরুম যেন দুর্গন্ধমুক্ত হয়, এজন্য বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। শৌচাগার ব্যবহারের পর যদি ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে দুর্গন্ধ বের হয়। আবার গোসলের পর ঠিকমতো বাথরুমে পানি না দিলেও অনেক সময় দুর্গন্ধ বের হতে পারে। কীভাবে বাথরুম বা টয়লেটের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন জানুন তার উপায়-
বিজ্ঞাপন

১. এক্সজস্ট ফ্যান:
বাথরুমে যদি ঠিকঠাক হাওয়া চলাচল করার জায়গা না থাকে, তাহলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই সম্ভব হলে বাথরুমে একটি এক্সজস্ট ফ্যান লাগিয়ে নিন। এতে বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারবে, কমবে দুর্গন্ধও।
২. পানি দিয়ে পরিষ্কার:
নিয়মিত বাথরুম পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নাহয় দুর্গন্ধ হবেই। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর সম্ভব হলে বাথরুমের জানলা ও দরজা খুলে দিন। ফলে আলো ও বাতাস ঢুকবে, ভ্যাপসা গন্ধও কেটে যাবে।

৩. বেসিন পরিষ্কার রাখুন:
বাথরুমের ভেতর যদি বেসিন থাকে, তাহলে সেটিও পরিষ্কার রাখতে হবে। অনেক সময় বেসিন ও নালার মুখে চুল ও ময়লা জমে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই বেসিন পরিষ্কার রাখুন।
আরও পড়ুন-
৪. এয়ার ফ্রেশনার:
বাজারে প্রচুর এমন সুগন্ধি থাকে, যা বাথরুমে টাঙিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ বের হয় না। বাথরুমে ঝুলিয়ে দিতে পারেন পছন্দের কোনো এয়ার ফ্রেশনার। বাথরুম ভরে উঠবে সুগন্ধে।

৫. বেকিং সোডা:
বাথরুমকে দুর্গন্ধ মুক্ত রাখতে সাহায্য নিতে পারেন বেকিং সোডার। একটি বাটিতে কিছুটা বেকিং সোডা নিন। বাটিটি রেখে দিন বাথরুমে। ভ্যাপসা গন্ধ কেটে যাবে।
৬. লেবুর রস ও ভিনেগার
লেবুর রসের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে তাতে কিছুটা পানি ভরে স্প্রে বোতলে ঢালুন। মাঝেমধ্যে বাথরুমের নানা জায়গায় এই মিশ্রণটি স্প্রে করতে পারেন। এই টোটকাতেও বাথরুমের দুর্গন্ধ দূর হয়।
এনএম

