গৃহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান বাথরুম। ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হলে এটি হয়ে ওঠে জীবাণুর আঁতুড়ঘর। তাই রোজ সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত একদিন বাথরুম পরিষ্কার করা লাগেই। সমস্যা হলো টাইলস আর কমোডের জেদি দাগ। কিছুতেই এগুলো পরিষ্কার হতে চায় না। এমনকি জীবাণুমুক্তও হয় না।
রান্নাঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে টাইলস আর কমোডের দাগ সহজে দূর করা সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন

ভিনেগার
এক কাপ ভিনেগার নিয়ে বাথরুমের টাইলস ও ফ্লোরে ছড়িয়ে দিন। আধা ঘণ্টা রেখে একটি ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই চকচক করবে বাথরুমের টাইলস ও ফ্লোর। এরপর একটি স্প্রে বোতলে পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটিও টাইলসে স্প্রে করতে মুছে নিন। এতে টাইলসের সব দাগ উঠে যাবে। এছাড়া কলের ওপর ভিনেগার স্প্রে করলে এতে থাকা পানির দাগ সব উঠে যায়।
লেবুর খোসা
বিজ্ঞাপন
রস নিংড়ে ফেলার পর বেশিরভাগ মানুষই লেবুর খোসা ফেলে দেন। তবে এখন থেকে আর ফেলবেন না। গরম পানির সঙ্গে লেবুর খোসা ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে যেকোনো লিকুইড সাবান মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি স্প্রে করে বাথরুমের কোণা, দেয়াল পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এই টোটকা ব্যবহার করে কল থেকে পানির দাগও তুলতে পারেন।

বেকিং সোডা
বেকারি আইটেম তৈরিতে বেকিং সোডা তো ব্যবহার করেনই। এখন থেকে বাথরুম পরিষ্কার করতেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। বাথরুমের টাইলসে এবং পানির কলের ওপর রাতে বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখুন। পরদিন সকালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেই সব দাগ উঠে যাবে। বাথরুম দেখাবে একদম নতুনের মতো।
রসুনের কোয়া
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কমোড পরিষ্কার করতে কাজে লাগাতে পারেন রসুন। রাতে কমোডের মধ্যে ৫-৬টা রসুনের কোয়া ফেলে দিন। পরদিন সকালে উঠে ফ্ল্যাশ করুন। এই টোটকা কমোডকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখবে। এছাড়া গরম পানিতে রসুনের কোয়া ফুটিয়ে নিন। এই পানি দিয়েও কমোড পরিষ্কার করতে পারেন। রসুন কমোডের দাগছোপ তুলে দেবে। এছাড়া বেকিং সোডা ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে কমোড পরিষ্কার করতে পারেন।
এনএম

