বর্ষার দিন মানেই শুধু বৃষ্টি, ঠান্ডা হাওয়া আর ভেজা মাটির গন্ধ নয়—এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও এক অপূর্ব অনুভূতি। সেটি হচ্ছে মুখরোচক খাবারের স্বাদ আস্বাদন করা।
বৃষ্টি শুরু হলেই মনে এক অদ্ভুত খিদে জাগে। রোদের দিনে যা খেতে ইচ্ছে করে না, বৃষ্টির দিনে তা-ই যেন সবচেয়ে লোভনীয় মনে হয়। পেট নয়, খিদে জাগে যেন মন থেকে! ভেজা আবহাওয়ায় চায়ের কাপ আর মুড়ি-মাখা কিংবা গরম সিঙ্গারা-পিয়াজু যেন স্বর্গীয় স্বাদ এনে দেয়।
বিজ্ঞাপন

কেন বৃষ্টির দিনে ভাজাভুজির প্রতি এত আকর্ষণ?
আবহাওয়ার পরিবর্তন আমাদের হজমশক্তি ও মনোভাবেও প্রভাব ফেলে।
বৃষ্টির দিনে চারপাশ স্যাঁতস্যাঁতে, ঠান্ডা আর একটু অলস। তখন শরীর গরম খাবার খুঁজে বেড়ায়, আর মন চায় একটু আনন্দ ও স্বস্তি।
বিজ্ঞাপন
এই সময় ভাজাপোড়া বা ঝাল খাবার মেজাজ চাঙা করতে সহায়ক।

বৃষ্টির দিনে বাঙালির প্রিয় খাবারগুলো:
পিয়াজু ও বেগুনি:
ডাল বাটার সঙ্গে মেশানো পেঁয়াজ ও বেগুনের পাতলা স্লাইস—তেলে ভাজা হয়ে ওঠে অদ্বিতীয় স্ন্যাকস।
সিঙ্গারা ও সমুচা:
আলুর পুর ভরা গরম সিঙ্গারা বা মাংসভর্তি সমুচা—বৃষ্টির দিনে চায়ের সেরা সঙ্গী।

পুরি ও কাবাব:
ঘরে বানানো পুরি বা রাস্তার বিফ কাবাব—দুটোই বৃষ্টির বিকেলে বাঙালির নস্টালজিয়া।
মুড়ি-মাখা:
চালের মুড়ি, সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ, পেয়াজ আর সামান্য চানা—এই সাধারণ খাবারটিও বৃষ্টির দিনে হয়ে ওঠে রসনার রাজার মতো।

চায়ের সঙ্গে সবকিছু:
এই সব খাবারের আসল সঙ্গী? গরম গরম লাল চা বা দুধ চা। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে বৃষ্টির শব্দ শোনা—এটাই তো বর্ষার রসনাতৃপ্তি।
সামাজিকতারও উৎসব
বর্ষার দিনে এই ভাজাভুজি শুধু খাওয়া নয়, বরং তা পরিবার-প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর উপলক্ষও। বাসায় সবাই মিলে বসে সিঙ্গারা-পিয়াজু খেতে খেতে গল্প করার মজাই আলাদা।

বর্ষার দিনে খাবার যেন হয়ে ওঠে আনন্দের উৎস।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে পেটের সমস্যা এড়াতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
বৃষ্টি কেবল প্রকৃতিকে নয়, বদলে দেয় বাঙালির রসনার রঙও। তাই ভাজাভুজির গন্ধ, গরম চা আর স্যাঁতস্যাঁতে আবহ—সব মিলিয়ে বর্ষা মানেই বাঙালির রসনা বিলাস।
এজেড

