জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট বা বড়ি। বাজারে কয়েক ধরনের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। যেমন- কম্বাইন্ড ওরাল পিল, প্রোজেস্টেরন অনলি পিল বা মিনিপিল এবং ইমার্জেন্সি পিল।
সাধারণভাবে চিকিৎসকরা যেসব পিল খাওয়ার পরামর্শ দেন তার সঙ্গে ইমারজেন্সি পিল বা আইপিলের পার্থক্য রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে দেখা দেয় মানসিক সমস্যা
ইমার্জেন্সি পিল এস্ট্রোজেন হরমোন নির্ভরশীল পিল। বিভিন্ন সময় বিশেষ পরিস্থিতি যেমন - সুরক্ষা ছাড়া যৌনমিলন, কনডম ফেটে যাওয়া, ধর্ষণের শিকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ঠেকাতে ইমারজেন্সি পিল কার্যকর।

এই ট্যাবলেট একবার বা ১২ ঘণ্টা অন্তর দুই ডোজে ব্যবহার করতে হয়। ইমার্জেন্সি পিল অবশ্যই অরক্ষিত যৌন মিলনের পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হয়।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসকরা বলেছেন, ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল একবার-দুইবার প্রয়োগে তেমন ক্ষতিকর নয়, কিন্তু বারবার বা নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বারবার বা ঘন ঘন খেলে যে ক্ষতিগুলো হতে পারে
১. ইসিওপি-তে উচ্চমাত্রার প্রোজেস্টিন থাকে। অতিরিক্ত খেলে শরীরের নিজস্ব হরমোন সিস্টেম বাধাপ্রাপ্ত হয়।
২. পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়। অনেক সময় সময়ের আগে/পরে পিরিয়ড শুরু হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে।

৩. ভবিষ্যতে গর্ভধারণের আশঙ্কা থেকে যায়। যদিও একবার খাওয়ায় সরাসরি বন্ধ্যাত্ব হয় না, তবে ঘন ঘন খাওয়ায় হরমোন ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে ডিম্বাণু তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
৪. দেহে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন: মাথাব্যথা, বমি, বুক ধড়ফড়, স্তন ব্যথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি। এছাড়াও মানসিক অস্থিরতা ও বিষণ্নতা তৈরি হতে পারে।
৫. অতিরিক্ত হরমোন প্রসেস করতে গিয়ে লিভারের ও কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।

সতর্কতা ও সীমাবদ্ধতা
এটি শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে খাওয়ার জন্য নির্ধারিত।
মাসে ১ বারের বেশি ব্যবহার না করা।
নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের বিকল্প নয়।
শিশু ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল নারীস্বাস্থ্যে একটি জরুরি সহায়তা হিসেবে কাজ করে। তবে এটি কখনই নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে, সঠিক তথ্য ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

