সন্তান গ্রহণে ইচ্ছুক নন এমন দম্পতিরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিশেষত নারীরা খেয়ে থাকেন গর্ভনিরোধক পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। কিন্তু এই ওষুধের খারাপ প্রভাব পড়তে পারে মস্তিষ্কে। এমনকি বিভিন্ন মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকদের মতে, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল মূলত একধরণের কৃত্রিম যৌন হরমোন। এটি শরীরে প্রবেশ করলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। নিয়মিত এই পিল খেলে যা আর কখনোই ঠিক হয় না। আর এর প্রভাব পড়ে সরাসরি মস্তিষ্কে।
বিজ্ঞাপন

একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত পিল সেবনে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। থাইরয়েডের সমস্যার সঙ্গেও এই পিলের যোগসূত্র রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর অনেকেই হাইপোথাইরয়েডিজমে ভোগেন। এই রোগের ওষুধ খান। একই সময়ে তারা যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খান তবে বিপদ। এর কারণে নানা মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আলেকজান্দ্রা ব্রলিয়ার্ড এমনটাই বলছেন।

বিজ্ঞাপন
এই বিজ্ঞানীর মতে, বার্থ কন্ট্রোল পিল মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে দেয়। পিলের কৃত্রিম যৌন হরমোন শরীরের অন্যান্য হরমোনের কাজে বাধা দেয়। যার গুরুতর প্রভাব পড়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে। আলেকজান্দ্রার গবেষণা অনুযায়ী, মস্তিষ্কের গঠনে পরিবর্তন আসে এমন নারীদের।
বেশ কজন নারীর উপর এই পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। এতে মস্তিষ্কের কর্টেক্সের স্তর পাতলা হতে দেখা গিয়েছে। এমনটা হলে ভয়ের অনুভূতি ঠিকমতো কাজ করে না বলেই জানাচ্ছেন আলেকজান্দ্রা।

তার মতে, মস্তিষ্কের একটি অংশ ভয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। সেই অনুভূতি কাজ করলেই আমরা ভয় পাই বা ভয়ের বস্তু থেকে দূরে স্বরে যাই। কিন্তু দীর্ঘদিন পিল খেলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখন মস্তিষ্কের গড়নে এই বদল আসে। যার ফলে ভয়ের অনুভূতি ঠিকমতো কাজ করে না। আরেকটু গুছিয়ে বললে বলা যায়, যেসব নারীরা জন্মনিরোধ পিল গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে অন্যদের তুলনায় বেশি ভয়, রাগ, ঘৃণা কাজ করে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, হেলথ লাইন
এনএম

