লিভারে চর্বি জমে গেলে প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়, বিশেষ করে যদি এটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) বা অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার-এ রূপ নেয়।
নিচে সম্ভাব্য লক্ষণগুলো দেওয়া হলো:
বিজ্ঞাপন
সাধারণ লক্ষণসমূহ:
অবসাদ ও দুর্বলতা:
সবসময় ক্লান্ত লাগা বা সহজেই হাঁপিয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায় এই ৪ পানীয়
বিজ্ঞাপন
পেটের ডান পাশে অস্বস্তি বা ব্যথা:
বিশেষ করে ডান পাশের উপরের দিকে হালকা চাপ বা ভার অনুভব হতে পারে।
পেট ফেঁপে থাকা বা গ্যাসের সমস্যা
বমি বমি ভাব বা অরুচি:
খাবারে রুচি কমে যেতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি বা ওজন কমে যাওয়া (অসামান্যভাবে)
ত্বক ও চোখের সাদা অংশে হলুদাভ রঙ দেখা দিলে (জন্ডিস)
এটি লিভারের কার্যকারিতা গুরুতরভাবে ব্যাহত হলে দেখা দেয়।
গুরুতর অবস্থায় লক্ষণগুলো:
পেটের পানি জমা (Ascites)
হাত-পা ফোলা
সহজে রক্তপাত হওয়া
মানসিক বিভ্রান্তি বা স্মৃতিভ্রংশ (লিভার এনসেফালোপ্যাথি)

পরীক্ষার মাধ্যমে যেভাবে ধরা পড়ে:
লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT)
আল্ট্রাসনোগ্রাফি
ফাইব্রোস্ক্যান
লিভার বায়োপসি (প্রয়োজনে)
সতর্কতা ও করণীয়:
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খাওয়া
নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা
মদ্যপান এড়িয়ে চলা
ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে অবহেলা করলে এটি সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের দিকে গড়াতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এজেড

