শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেয়। এর কারণে আঙুল ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা, হাড়ের দুর্বলতা, ফোলাভাব ইত্যাদি সমস্যা দেয়। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে বেশি থাকলে এটি আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের কারণও হতে পারে। কিছু পানীয় রয়েছে যা কেবল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর নয়, শরীরকে ভেতর থেকেও ডিটক্স করে এটি।
বিজ্ঞাপন

বিটরুটের রস
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন বিটরুটের রস। এতে কেবল ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাই নয়, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যাও দূর হয়। বিটরুটের রসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য, আপনি এতে লেবুর রস ও বিট লবণ যোগ করতে পারেন। এতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
করলার রস
তিতা স্বাদের করলা ভাজি করে খেলেও, করলার রস কেউ পছন্দ করেন না। কিন্তু শরীরের জন্য এই পানীয় খুব উপকারি। করলায় রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং পটাসিয়াম, যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং গেঁটেবাতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

লাউয়ের রস
লাউতে উচ্চ পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। এতে অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদানও রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ লাউয়ের রস ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস লাউয়ের রস খেলে শরীরে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড দ্রবীভূত হতে পারে এবং বের হয়ে যেতে পারে।
কমলার রস
ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে কমলা খান। এই ফলটিতে অনেক রকম পুষ্টি উপাদান আছে। কমলার রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন এটি পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এনএম

