শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ লিভার। সুস্থ থাকতে তাই লিভার ভালো থাকা জরুরি। আমাদের রোজকার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় লিভারের। প্রসেসড ফুড, তেলচর্বিযুক্ত খাবার, মদ্যপানের অভ্যাসে লিভারে ফ্যাট জমে।
লিভারের সমস্যা এড়াতে এই অংশটিকে টক্সিনমুক্ত রাখা জরুরি। যদিও লিভার নিজেই শরীরের ন্যাচারাল ডিটক্স সেন্টার। তাই একে সুস্থ রাখতে আলাদা করে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। রোজকার খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখলে টক্সিনমুক্ত থাকবে লিভার। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

সবুজ শাক
শাকের মধ্যে রয়েছে ক্লোরোফিল নামের একটি উপাদান। এটি পিত্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। শরীর থেকে বর্জ্য বের করতে এবং ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করে এটি। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় যেকোনো শাক রাখতে চেষ্টা করুন।
রসুন
লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী একটি উপাদান রসুন। এতে আছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম নামক দু’টি উপাদান যা লিভারকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। রোজ দুই কোয়া রসুন খান। এতে লিভার একদম ফ্যাট ফ্রি থাকবে।

হলুদ
হলুদে আছে কারকিউমিন। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, হলুদে থাকা এই যৌগ দেহে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির কাজ করে। এটি লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে দেয় এবং লিভারের প্রদাহ কমায়।
আপেল
আপেল একটি সুপারফুড। এক নয় একাধিক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করে এই ফল। এতে থাকা পেকটিন নামের ফাইবার পেট পরিষ্কার করে দেয়। লিভার ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

গ্রিন টি
চা খেতে চাইলে গ্রিন টি খান। এই পানীয়তে আছে ক্যাটেচিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য উপকারি। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি খেলেই ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
লেবুজাতীয় ফল
যেকোনো ধরনের লেবুতেই আছে ভিটামিন সি। এই উপাদান লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলেও উপকার মিলবে।

কপিজাতীয় সবজি
খাদ্যতালিকায় রাখুন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি কিংবা ব্রকোলি। এই জাতীয় সবজিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামক একটি এনজাইম থাকে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এনএম

