বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের জন্য জীবনধারা আর খাদ্যাভ্যাস দায়ী। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুব একটা বোঝা যায় না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলো গুরুতর হয়ে ওঠে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু রক্তচাপ কতটুকু থাকলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

উচ্চ রক্তচাপ কী:
উচ্চ রক্তচাপ কখন হয় এবং এটি আসলে কী তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যে পরিস্থিতিতে রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়। ফলে, শিরাগুলোর ওপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে শিরার দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। গুরুতর ক্ষেত্রে, শিরা ফেটে যেতে পারে, যা মারাত্মক শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন-
উচ্চ রক্তচাপের পরিসীমা কত:
যদি শরীরের রক্তচাপের পরিসীমা ১২০/৮০ মিমি এইচজি হয় তাহলে তাকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়। কিন্তু এই পরিসীমা যখন সিস্টোলিক ১৩০/১৩৯ এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ থেকে ৯০ মিমি এইচজি-র বেশি হয়ে যায়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।

রক্তচাপের কোন স্তরটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হার্ট অ্যাটাকের জন্য অনেকাংশে দায়ী। যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিমিএইচজি-র বেশি হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, যত দ্রুত সম্ভব একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নয়তো অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
আরও পড়ুন-
রক্তচাপের দৃশ্যমান লক্ষণগুলি কী কী:
রক্তচাপের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এর কোনো গুরুতর লক্ষণ দেখা যায় না। এজন্যই একে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তা হলো:

- তীব্র মাথাব্যথা
- মাথা ঘোরা
- চোখ লাল হওয়া
- বুকে ব্যথা
- নাক দিয়ে রক্তপাত
- বমি বমি ভাব অনুভব করা

আপনার যদি রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত রিডিং পরীক্ষা করে দেখুন। গুরুতর অবস্থার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এনএম

