তিল এক ধরনের তেলজাতীয় ফসল। এটি এক ধরনের বীজ। যা থেকে তেল পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন খাবারের ওপরে ছিটিয়ে খাওয়া হয়। তিল খাওয়া কেন ভালো? এই বীজ আমাদের শরীরের কোন কোন সমস্যা দূর করে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকের কাছেই জানা নেই।
অনেক ধরনের বীজ খাওয়াই আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ভালো। এর মধ্যে অতি অবশ্যই রাখতে পারেন তিল। দুই ধরনের তিল হয়, সাদা এবং কালো। দুই ধরনের তিলেরই প্রচুর গুণ রয়েছে। তিলবাটা তৈরি করার ক্ষেত্রে সাধারণত সাদা তিল ব্যবহার করা হয়। আর বিভিন্ন ধরনের নিরামিষ পদের উপর আপনি সাদা কিংবা কালো, দুই ধরনের তিলই ব্যবহার করতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: স্মৃতিশক্তি বাড়ে যেসব খাবারে
তিল রান্নায় দিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই এই বীজের রয়েছে অনেক গুণ। বিভিন্ন নিরামিষ পদে এবং ভাজাভুজির ক্ষেত্রে তিল ছড়িয়ে দিলে খেতে খুব ভালো লাগে। এছাড়াও গরম ভাতের সঙ্গে সাদা তিল বাটা খেতে পারলে পেটের সমস্যা দূর হবে আপনার। তবে কোনও কিছুই বেশি খাওয়া ভালো নয়। তাই তিলও বেশি খেলে পেটের সমস্যা কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। কষ্ট পেতে পারেন পেটে ব্যথায়।

তিলের পুষ্টিগুণ
বিজ্ঞাপন
তিলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এই বীজ খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেটের সমস্যা থাকলে কমে যায়। হজম ক্ষমতা ভালো করে এই বীজ। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। সহজ ভাষায় বলা যায় তিল আমাদের পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন রয়েছে তিলের মধ্যে। এই বীজ খেলে হাড়ের গঠন মজবুত হবে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে।

চুল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য পাতে তিল রাখুন। রান্নায় ব্যবহার করুন কিংবা বেটে খান তিল। চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য তিল তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন মাথার তালুতে।
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তিল। অতএব যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা তিল খেতে পারেন।
কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে তিলের বীজ। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক- এইসব হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
এজেড

