ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। আর শীত এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ইনফ্লুয়েঞ্জা, এডিনোর মতো সব ভাইরাস। ফলে ঘরে ঘরে দেখা দেয় জ্বর, সর্দি, কাশি। তাই শীতের এই সময়টায় ইমিউনিটি বাড়ানো জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় থাকলে অনেক ভাইরাসই হামলা চালাতে পারে না।
ইমিউনিটি বাড়াতে চাইলে সবার আগে ফাস্ট ফুড খাওয়া ছাড়তে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস। তার বদলে কিছু উপকারি খাবারে ভরসা রাখতে পারেন। এমন কিছু খাবার সম্পর্কেই চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিজ্ঞাপন
সাইট্রাস ফ্রুট
বাতাবিলেবু, কমলালেবু, পাতিলেবুর মতো সাইট্রাস ফ্রুট রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে দ্রুত ইমিউনিটি বাড়াতে পারবেন। এসব ফলে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ভিটামিন শ্বেত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে প্রবেশ করলেও জীবাণু বেশি ক্ষতি করতে পারে না। তাই শীতে নিয়মিত এসব ফল খান।
ব্রকোলি
ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার এই সবজি। শুধু তাই নয়, এতে বেশ ভালো পরিমাণ ফাইবারও রয়েছে। সঙ্গে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও। এসব উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ব্রকোলিতে থাকা ভিটামিন সি-ও শরীরকে রক্ষা করে। বাড়ায় ইমিউনিটি। তাই রোজকার ডায়েটে রাখুন ব্রকোলি।
রসুন
শীতে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত খেতে পারেন রসুন। এই ভেষজে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদানটি ইনফেকশন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত রসুন সেবন করলে প্রদাহ কমে। ফলে অনেক জটিল রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়। রোজকার ডায়েটে রাখুন রসুন। উপকার মিলবে।
পালং শাক
ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার পালং শাক। এই ভিটামিন সরাসরি ইমিউনিটি বাড়ায়। শুধু তাই নয়, পালং শাকে আছে বিটা ক্যারোটিন থেকে শুরু করে একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এসব উপাদান শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানকে দেহের বাইরে বের করে দেয়। ফলে এড়িয়ে চলা যায় একাধিক জটিল ক্রনিক রোগের ফাঁদ। তাই রোজকার ডায়েটে অবশ্যই পালং শাক রাখুন।
দই
দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক। এই উপাদান অন্ত্রে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ফলে ফেরে কোলোনের স্বাস্থ্যের হাল। আর কোলোনের স্বাস্থ্য ফিরলে বাড়ে ইমিউনিটি। শরীরের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না একাধিক জটিল রোগ। তাই রোজকার ডায়েটে অবশ্যই দইকে জায়গা করে দিতে হবে। তবে মিষ্টি দই খেলে তেমন একটা লাভ হবে না। খেতে হবে টক দই। তাতেই মিলবে উপকার।
এনএম