‘আমি হব সকাল বেলার পাখি/ সবার আগে কুসুম বাগে/ উঠব আমি ডাকি’— ছেলেবেলায় এই কবিতা অসংখ্যবার পড়লেও বড় হয়ে তা আর সম্ভব হয় না। সকাল বেলার পাখি হন কম জনই। আজ সকাল ৭টায় ওঠেন তো কাল ৮টায়। ছুটির দিন হলে আবার বিছানা ছাড়তে ছাড়তে ৯-১০টা বেজে যায়।
একেক দিন একেক সময় উঠলে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি রোজ সকাল ৫টায় বিছানা ছাড়তে পারেন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। জীবনও হবে গোছানো।
বিজ্ঞাপন

নিজের জন্য মিলবে সময়
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে নিজের জন্য আলাদা সময় পাওয়া যায়। এসময় ঘুম থেকে উঠলে আপনি প্রাণায়াণ বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। এতে মনের ওপর প্রভাব বাড়বে। সহজে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনি। পাশাপাশি সামলাতে পারবেন মেজাজও।
ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি হবে
নিয়মিত একই সময় ধরে ঘুম থেকে উঠলে শরীর একটি নির্দিষ্ট রুটিনে পড়ে যাবে। ফলে রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় পড়তে হবে না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্যও যুদ্ধ করতে হবে না। তাই অনিদ্রা থেকে দূরে থাকতে চাইলে রোজ ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।

রোগ বালাই থাকবে দূরে
ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারলে বাড়তি সময় পাওয়া যায়। এসময় একটু ব্যায়াম করুন। চাইলে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন। ব্যায়াম করতে আলসেমি লাগলে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন। সাইকেলিং ভালোবাসলে কিছুক্ষণ সাইকেলও চালাতে পারেন। এসব অভ্যাসে কমবে ওজন। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস, প্রেশারসহ সব জটিল রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে।
পজিটিভিটি দিয়ে শুরু হবে দিন
জীবনে সাফল্য চাইলে ইতিবাচক চিন্তাধারার বিকল্প নেই। মনকে ঠিক রাখলে অনেক সমস্যা থেকে সহজে বেরিয়ে আসা যায়। পজিটিভ হয়ে দিন শুরু করলে সারাদিন ভালো কাটে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকাল ৫টা বা আরও ভোরে ঘুম থেকে উঠেন, তাদের মধ্যে অন্যদের থেকে বেশি পজিটিভিটি কাজ করে।

সব কাজ হবে সময়মতো
প্রতিটি দিনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ থাকা জরুরি। অন্যথায় দিনশেষে কোন কাজই ঠিকমতো শেষ হয় না। আপনি যদি রোজ সকাল ৫টায় ওঠেন, সেক্ষেত্রে পুরো দিনের টু-ডু লিস্ট খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন। এরপর সেই অনুযায়ী এক একটা করে কাজ করা সহজ হবে। কিছুদিন এভাবে চললে নিজেই পরিবর্তন টের পাবেন। সাফল্য এসে ধরা দেবে আপনার জীবনে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
এনএম

