যাদের ওজন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না তারা বিশেষ একটি জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এই জুস পান করলে ওজন বশে থাকবে।
এই পানীয় প্রস্তুতির মূল উপাদান হল মুলো। শীতকালে ভালো মানের মুলো পাওয়া গেলেও, এখন বছরভরই শীতের সবজি মেলে। বাজারে খোঁজ করলে তাই এই সবজিও পাওয়া যাবে। সঙ্গে লাগবে গাজর, আপেল, কমলালেবু, আদা, হলুদ। প্রতিটি উপাদানেরই নিজস্ব গুণ আছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: এই তিনটি খাবার বাসি খেতে নেই
পানি ও ফাইবারে পরিপূর্ণ মুলোতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। মুলো খেলে পেট ভরে, অথচ ক্যালোরি কম যায়। তাই রোগা হওয়ার লড়াই যারা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য মুলা বেশ উপকারী। পাশাপাশি বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সবজিটি। আপেলেও রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ। অথচ ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। কমলালেবু ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ পাতিলেবু। এ ছাড়াও যে সমস্ত উপাদান বিশেষ পানীয়টি তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে, তার প্রতিটির নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে।

এই পানীয় শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, হজমশক্তি বাড়াতে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকর।
বিজ্ঞাপন
কীভাবে তৈরি করবেন এই জুস?
উপকরণ
৬টি মুলা
৩টি গাজর
১টি বড় আপেল
১টি কমলালেবু
১টি পাতিলেবু
আধা ইঞ্চি আদা
সামান্য হলুদ ও পান

প্রণালি
মুলো ও গাজর ধুয়ে উপরের খোসাটি ছাড়িয়ে কুচিয়ে নিতে হবে। আপেলও কেটে বীজগুলো ফেলে দিতে হবে। কমলালেবু খোসা ছাড়িয়ে কোয়া বার করে বীজগুলো ফেলে দিতে হবে। আদাও খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে নিতে হবে। এবার সব কয়টি উপকরণ মিক্সারে নিয়ে বেটে ছেঁকে নিতে হবে। একদম শেষে মিশিয়ে দিতে হবে পাতিলেবুর রস।
বরফকুচি যোগ করে এই রস খেলেই ছিপছপে চেহারা, সুস্থ শরীরের স্বপ্ন আর অধরা থাকবে না। প্রতিদিন ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে বশে থাকবে ওজন। তবে এর সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা, পানি খাওয়া, সুষম ও পরিমিত খাদ্যগ্রহণ প্রয়োজন।
এজেড

