চায়ের সঙ্গে এই ভেষজ মেশালে কমবে রক্তচাপ

আসলে আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাই ঝটপট এই পানীয়কে ডায়েটে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন।

​দিনে কতবার খাবেন?​

আদা চা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু তাই বলে আবার দিনে ২-৩ বারের বেশি এই পানীয় খাবেন না। এই ভুলটা করলে আদতে বিপদ বাড়বে। কারণ, আদা উপকারী হলেও এতে রয়েছে ট্যানিন। আর এই উপাদান শরীরে বেশি পরিমাণে পৌঁছে গেলেই রক্তচাপ বাড়বে। তাই আদা চা খাওয়ার সময় এই নিয়মটা মাথায় রাখুন।

তবে শুধু ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ নয়। এর পাশাপাশি আরও একাধিক উপকার করে এই চা। যেমন ধরুন–

​ওজন কমবে তরতরিয়ে​

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওজন বেশি থাকাটা খুবই সমস্যার বিষয়। এর ফলে শরীরের পিছু নিতে পারে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, বিপি থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখ। তাই যেন তেন প্রকারেণ মেদের ভার কমাতে হবে। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে নিয়মিত আদা চায়ে চুমুক দিতেই পারেন। কারণ, এই পানীয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকের হার বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর মেটাবোলিজম রেট বাড়লে যে অনায়াসে ওজন কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য!

​বমি বমি ভাব কমবে

আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত বমি বমি ভাবের মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ে বেজায় ভোগেন। তবে ভালো খবর হল, এই সমস্যাকে কাবু করার কাজে একাই একশো হল আদা চা। তাই এবার থেকে এই সমস্যার ফাঁদে পড়লেই আদা চা খেয়ে দিন শুরু করুন। বিশেষত, গর্ভাবস্থায় বা কেমোথেরাপির পর বমি বমি ভাব থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আদা চাকে ডায়েটে জায়গা করে দিতে পারেন। তাতেই মিলবে উপকার।

​দূরে থাকবে ক্যানসার​

অত্যন্ত জটিল একটি অসুখ হল ক্যানসার। এই রোগের ফাঁদে পড়লে একাধিক জটিল রোগ নিতে পারে পিছু। তাই যেন তেন প্রকারেণ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আদা চা। তাই চেষ্টা করুন রোজের ডায়েটে এই পানীয়কে জায়গা করে দেওয়ার।

মনে রাখবেন

এই চায়ে চিনি বা দুধ মিশিয়ে খাবেন না। এই ভুল করলে উপকার মিলবে না। উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাবে।

এজেড