বর্ষাকালে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। তারা এই সময়ে নিয়মিত খেতে পারেন উপকারি ঢেঁড়স। যা পেটের সমস্যার দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও যারা গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যায় আক্রান্ত তারাও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন। জানুন পেট ভালো রাখতে কীভাবে কাজ করে পরিচিত এই সবজি।
ফাইবারের ভাণ্ডার
বিজ্ঞাপন
এই সবজিতে রয়েছে ফাইবারের খনি। আর এই উপাদান অন্ত্রের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর কোলোন সুস্থ-সবল থাকলে যে অচিরেই গ্যাস-অ্যাসিডিটি বিদায় নেবে, তা তো বলাই বাহুল্য। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুক্তভোগীদের নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার পরামর্শ দেন। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনারা সুস্থ থাকবেন।

কাছে ঘেঁষবে না কোষ্ঠকাঠিন্য
সকাল সকাল পেট পরিষ্কার না হলে পেট ফুলে যেতে পারে। এমনকি পিছু নিতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটি। তাই যেন তেন প্রকারেণ পেট পরিষ্কার করতে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে ফাইবার সমৃদ্ধ ঢেঁড়স। তাই কনস্টিপেশনে ভুক্তভোগীরা আজ থেকেই এই সবজিকে পাতে জায়গা করে দিন। ব্যস, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ৩ পানীয়
তবে শুধু পেটের সমস্যাই নয়, এছাড়াও একাধিক উপকার করে এই সবজি।

বাড়বে হাড়ের জোর
এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন কে-এর ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এতে মজুত কিছু উপাদান জয়েন্টের ব্যথা কমানোর কাজেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব এইসব সবজি খান। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনার হাড়ের জোর বাড়ার পথে আর বাধা থাকবে না।
ডায়াবেটিসের দাওয়াই
ব্লাড সুগার একটি জটিল অসুখ। তাই যেন তেন প্রকারেণ এই রোগকে বশে রাখতে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে ঢেঁড়স। কারণ এই সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। ফলে ঢেঁড়স খেলে সুগার বাড়ে না। শুধু তাই নয়, এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। আর সেই সুবাদে বশে থাকে সুগার। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

হার্টের বন্ধু
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে কোলেস্টেরলকে অনায়াসে বশে রাখা যায়। আর কোলেস্টেরল বশে থাকলে যে খুব সহজেই হার্টের অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন, তা কিন্তু সহজেই অনুমেয়। তাই হৃৎপিণ্ডের হাল ফেরাতে চাইলে রোজের পাতে এই সবজিকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন! আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
এজেড

