ঢাকার শেরেবাংলা নগরে শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২৪। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞাপন
সাবেক বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এই মেলা ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে মেলা। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিট লাগবে না। বিনা খরচে মেলায় গাড়ি, বাইক পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
মেলায় বেসরকারি-বেসরকারি প্রায় শ খানেক স্টল অংশ নিয়েছে। এসব নার্সারিতে পাওয়া যাচ্ছে দেশ-বিদেশের নানা জাতের গাছ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার বিকালে মেলায় কথা হয় বৃক্ষপ্রেমী শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, মেলা শুরু হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই সময় করে তিনি আসছেন। স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখছেন। নার্সারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
তবে তিনি অক্ষেপ করেন, গতবারের বৃক্ষমেলার তুলনায় এবারের মেলায় গাছের দাম কিছুটা বেশি।
আরও পড়ুন: পরিবেশ মেলা ৫-১১ জুন
গাছের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শাখাওয়াতের মতো মেলায় আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে।
হিরা নার্সারির কর্ণধার আনোয়ারুল ইসলাম রাজু অবশ্য বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির দোহাই দিলেন। তিনি বলেন, গত একবছরের প্রায় সবকিছুরই দাম বেড়েছে। তবে কেন গাছের দামটা আগের মতো থাকবে?
তিনি জানান, একটা গাছ মেলায় আনার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েক মাস নার্সারিতে রেখে যত্ন-আত্তি করতে হয়। গাছের পেছনে সার, পানিরও একটা খরচ আছে।
মেলার মূল আকষর্ণ বাংলাদেশ বণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি স্টলকে ঘিরে। কেননা, এই স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির দূর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় বাঁশ ও গাছ প্রদর্শন করা হচ্ছে। মেলার শেষ দিকে এসব গাছ-গাছালি বিক্রিও হবে। এই স্টলে ঢুকতেই চোখে পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ। এর মধ্যে রয়েছে ওরা বাঁশ, তল্লা বাঁশ, ভেরিগেড ব্যাম্বু, মুসো বাঁশ, জিগজাগ বাঁশ, মিতিঙ্গা বাঁশসহ নানান প্রজাতির বাঁশের সমাহার। এছাড়াও বিভিন্ন জাতের দেশি গাছের সংগ্রহ রয়েছে স্টলটিতে।
এই স্টলে কথা হয় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হকের সঙ্গে। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির দূর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় বাঁশ, কাঠ ও ফলের গাছ রয়েছে। এসব গাছ মেলায় আগত দর্শনার্থীদের দেখানোর জন্য আনা হয়েছে।
তিনি জানান, মেলার শেষভাগে এসব বাঁশ ও গাছ স্বল্পদামে বিক্রিও করা হবে।
এজেড