রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ? নিয়ন্ত্রণে রাখুন এই উপায়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২৪, ১১:৪৫ এএম

শেয়ার করুন:

blood pressure

অল্প বয়সেই অনেকেই হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার নানা উপায় খুঁজছেন। একটা সময় বয়স ৪০-৪৫ না পেরলে ব্লাড প্রেশারের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকত না। তবে সেসব দিন এখন অতীত। আজকাল তো বয়সের গণ্ডি মাত্র ২০-৩০ পার হওয়ার পরই পিছু নিচ্ছে এই অসুখ। আর এর পেছনে মূলত দুইটি কারণ রয়েছে। প্রথমত হল, মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। আর দ্বিতীয়ত, নিয়মিত ফাস্টফুড এবং অন্যান্য লবণ জাতীয় খাবার গ্রহণ।

আরও পড়ুন: এই গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করণীয়


বিজ্ঞাপন


মনে রাখবেন, কম বয়সে এই রোগ পিছু নিলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। নাহলে কিডনি, হার্ট, ব্রেনসহ দেহের একাধিক অঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি হবে। তাই কম বয়সী ব্লাড প্রেশারে ভুক্তভোগীরা সাবধান হন। চেষ্টা করুন এই রোগকে বশে রাখার।

​নিয়মিত ওষুধ খাওয়া জরুরি 

হাই ব্লাড প্রেশার একটি ক্রনিক অসুখ। তাই একবার এই রোগের ফাঁদে পড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সারাজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। আর এই বিষয়টাই অনেকে মেনে নিতে পারেন না। ফলে তারা ওষুধ খাওয়ার পর ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেই, চট করে ওষুধ বন্ধ করে দেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই প্রেশার বেড়ে যায়। এমনকি পিছু নেয় অন্যান্য অসুখ। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিজের ওষুধ খেয়ে চলুন। তার পাশাপাশি নিয়মিত মাপতে হবে ব্লাড প্রেশার। সেক্ষেত্রে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকলে সমস্যা নেই। তবে তা বশে না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাকে সমস্যার কথা বলুন। তারপর তিনি হয়তো ওষুধ বা ওষুধের ডোজ বদলে দিতে পারেন। তারপর সেই মতো ওষুধ খান।

food


বিজ্ঞাপন


ফাস্টফুড পরিহার করুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই ফাস্টফুড খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তো তারা মাঝেমধ্যেই বিরিয়ানি, পুরি, সিঙ্গারা, বার্গার, নুডুলস, পিৎজা, রোল খেয়ে রসনাতৃপ্তি করেন। তবে সত্যি বলতে, এসব খাবার কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ এতে রয়েছে লবণ, তেল, মশলার ভাণ্ডার। আর এসব উপাদান কিন্তু ব্লাড প্রেশার বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। এমনকি ফাস্টফুডের কারসাজিতে কোলেস্টেরল, সুগারের মতো সমস্যাও নিতে পারে পিছু। তাই আজ থেকেই ফাস্টফুড খাওয়ার লোভ সামলে নিন। তার বদলে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবারের উপর রাখুন ভরসা। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

কাঁচা লবণ চলবে না​

কিছু মানুষের ভাতের পাতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের প্রেশার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই চেষ্টা করুন ভাতের পাতে বা ফলের উপর কাঁচা লবণ ছড়িয়ে না খাওয়ার। তার বদলে রান্নায় ঠিক যেটুকু লবণ মেশানো থাকে, তা খেয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। তাহলেই কিন্তু অনায়াসে এই সমস্যাকে বশে রাখতে পারবেন। এমনকি কিডনি ডিজিজ, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কয়েকগুণ কমবে।

pressure

পাতে থাকুক শাক ও সবজি​

ব্লাড প্রেশার রোগীদের পাতে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিামণে ফল এবং সবজি। কারণ এসব খাবারে রয়েছে পটাশিয়াম সহ অন্যান্য খনিজের ভাণ্ডার যা কিনা বিপি কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। 

শুধু তাই নয়, এসব উদ্ভিজ্জ খাবার হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি। যার ফলে শাক, সবজি, ফল খেলে দেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। আর সেই সুবাদে হার্টের অসুখ, ক্যানসার থেকে শুরু করে একাধিক ক্রনিক রোগও কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে নিয়মিত শাক, সবজি এবং ফল খেতে ভুলবেন না যেন।

ওজন কমালেই মিলবে সুফল

ওজন কমাতে পারলেই কিন্তু ব্লাড প্রেশারকে অনেকটা বশে রাখা যায়। তাই যাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি, তারা আজ থেকেই মেদ কমানোর কাজে লেগে পড়ুন। সেক্ষেত্রে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়া ছাড়ুন। তার বদলে পাতে জায়গা করে দিন শাক, সবজি এবং ফলকে। আর প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম হল মাস্ট। ব্যস, তাতেই ওজনের কাঁটাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে নামিয়ে আনতে পারবেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর