বড়দের মতো শিশুদের পানিশূন্যতা হতে পারে। কিন্তু শিশুদের সহজে পানি পান করানো যায় না। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়েও যখন শিশুদের পানি খাওয়াতে পারছেন না তখন কিছু ফলে ভরসা রাখতে পারেন। যেসব ফল শিশুদের খাওয়ালে পানিশূন্যতা পূরণ হবে।
শিশুকে তরমুজ খাওয়ান
বিজ্ঞাপন
গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ কিন্তু বাচ্চাদের খুব প্রিয়। তাহলে আপনার সন্তানকে এই ফল দিয়েই হাইড্রেটেড রাখুন। তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। তাই আপনার সন্তান একটু কম পানি পান করলেও পাতে এই ফল থাকলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি এড়ানো যাবে।
এক কাপ তরমুজ থেকে মোটামুটিভাবে অর্ধেক কাপ পানি পাবে শরীর। শুধু হাইড্রেশনের দিক থেকেই নয়, পুষ্টিতেও সেরা তরমুজ। এতে ভরে ভরে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং লাইকোপিন সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। এসব পুষ্টিগুণে আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের হালও ফিরবে।
স্ট্রবেরি শিশুদের প্রিয় ফল
বিজ্ঞাপন
বাচ্চাদের অন্যতম পছন্দের ফল স্ট্রবেরি। স্বাদে অল্প টক হলেও গুণে কিন্তু ভরপুর। এই ফলের ৯১ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। তাই আপনার সন্তানের স্ন্যাকসে এক মুঠো স্ট্রবেরি দিলে কম পানি পান করেও শরীরে জলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।
এছাড়াও ভিটামিন সি-র বড় উৎস হল স্ট্রবেরি। নিয়মিত সন্তানের পাতে এই ফল থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে মৌসুমি বদলের সময় ছোট-বড় নানা সংক্রমণের হাত থেকেও আপনার সন্তান সুরক্ষিত থাকবে।
শিশুকে শসা খেতে দিন
গরমকালে হাইড্রেশনের এত বড় উৎস মিস করলে কী করে চলবে? এর ৯৫ শতাংশই পানি। তাই সন্তানকে হাইড্রেটেড রাখতে শসার সালাদ নিয়মিত খাওয়ান তাকে। তাতেই গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে। সঙ্গে মিলবে আরও বহু উপকারও। কারণ শসায় রয়েছে ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এছাড়াও এতে মেলে এরেপসিন নামক এক উৎসেচকের। এর গুণেই সন্তানের বদহজমের সমস্যা দূর হবে এবং মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও। অ্যাসিডিটি কমানোর ক্ষেত্রেও মহৌষধি এই শসা।
ফলের পাশাপাশি শিশুকে খেতে দিন দই
টক দইতেও কিন্তু পানির পরিমাণ কম নয়। এতে ৮৮ শতাংশ পানি রয়েছে। তাই তো বাচ্চা থেকে বুড়ো, গরমে শেষ পাতে টক দই খেয়েই থাকেন। অনেকে আবার পেট ভরান দই-শসা দিয়েই। তাই সন্তানের শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে হলে এক বাটি দই যথেষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: শিশু খেতে চায় না? খাওয়ানোর কৌশল জানুন
সন্তানকে রোজ দই খাওয়ানোর আরও অনেক উপকারিতাও রয়েছে। আমাদের সকলেরই জানা, প্রোবায়োটিকে ঠাসা দই। উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এই খাবার। তাই বদহজম সহ পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পায় আপনার সন্তান। এছাড়া দইয়ে হদিশ মেলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো খনিজের। এসব উপাদানই শিশুর হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
এজেড