চিয়া সিড। বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম। যা সুপারফুড হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। অনেকেই ভাবেন ওজন কমাতে চিয়া সিডের তুলনা নেই। প্রশ্ন হল, এই বীজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে? কী বলছেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা?
চিয়া সিডের হাজার উপকার
বিজ্ঞাপন
অতি উপকারী এই বীজে রয়েছে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩ থেকে শুরু করে একাধিক ভিটামিন ও খনিজের খনি। আর এসব ভিটামিন ও খনিজ কিন্তু শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার কাজে অত্যন্ত কার্যকরী। শুধু তাই নয়, এতে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে একাধিক ক্রনিক রোগকেও অনায়াসে বশে রাখা যায়। সেই সঙ্গে হৃৎপিণ্ড, হাড় সহ দেহের একাধিক অঙ্গ থাকে সুস্থ-সবল। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে রোজ এই বীজ সেবন করতে ভুলবেন না যেন।
চিয়া বীজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?
এই প্রশ্নের উত্তরে পুষ্টিবিদরা জানালেন, চিয়া সিড অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। আর এই বীজ নিয়মিত খেলে ওজনও কমে তরতরিয়ে। কারণ, এই বীজে এমন কিছু উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই বীজ খাওয়ার পর চট করে খিদে পায় না। আর কম খেলে যে অচিরেই ওজন কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে আজ থেকেই এই বীজকে জায়গা করে দিন।
বিজ্ঞাপন
কীভাবে খাবেন চিয়া সিড?
এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে ১ থেকে ২ চা চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে নিন। তারপর দ্রুত সেই পানীয় পেটে চালান করে দিতে পারেন। আবার চাইলে এই বীজ দিয়ে শরবত বানিয়েও খাওয়া যায়।
কখন খাবেন?
সকালের দিকে এই পানীয় নিয়মিত খেলে উপকার মিলবে বেশি। তবে আপনারা চাইলে দুটি মিলের মাঝেও এই ড্রিংকস সেবন করতে পারেন। তাতেও দ্রুত কমবে মেদের বহর।
আরও পড়ুন: আটা নাকি ওটসের রুটি খেলে ওজন কমবে?
খাদ্যাভ্যাসে আনুন বদল
ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইলে সবার প্রথমে ফাস্টফুড খাওয়ার লোভ সামলে নিন। এমনকী ঘরে তৈরি ভাজাভুজিও খাওয়া চলবে না। তার বদলে অল্প তেল, মশলা সমৃদ্ধ খাবার খান। পাতে রাখুন ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, শাক ও সবজি। আর চেষ্টা করুন ভাত, রুটির মতো কার্ব সমৃদ্ধ খাবার অত্যধিক পরিমাণে না খাওয়ার। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
ব্যায়াম হল মাস্ট
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত মাত্র ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে এক্সারসাইজ করলেই ওজন কমবে তরতরিয়ে। তাই আজ থেকেই নিজের সারাদিনের রুটিনে ৩০ মিনিট ব্যায়ামের জন্য ধার্য করুন। সেক্ষেত্রে এই সময়টা জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন। কিংবা বাড়িতেও করতে পারেন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ।
তবে অনেকেই ব্যায়াম করতে চান না। তারা চাইলে এই সময়টুকু হাঁটুন, সাইকেল চালান বা সাঁতার কাটুন। তাতেও উপকার মিলবে হাতেনাতে।
এজেড