তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। এই সময়ে কীভাবে শীতল থাকা যায় তা নিয়ে চলছে চর্চা। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ওপর নজর কম-বেশি সবারই। গরমে চা না কফি পান করা ভালো তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। এই গরমে এই দুই পানীয়ের মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী? আর দিনে কত কাপ কাপ চা বা কফি খাওয়া উচিত?
গরমে চা সেরা
বিজ্ঞাপন
আমাদের অতি পরিচিত চা হল একটি রিফ্রেশিং ড্রিংক। তাই চা খেলে কমে দুশ্চিন্তা, কাজে বশে মন। তবে শুধু মনের হাল ফেরানোই নয়, সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, প্রেশারকে বশে রাখাসহ একাধিক জরুরি কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চা। আর সেই কারণেই তো সারা বিশ্বের প্রথমসারির সব পুষ্টিবিদেরা চায়ের এত গুণগান করেন। তাই আর মনে প্রশ্ন না রেখে নিয়মিত চা খাওয়া চালু করে দিন।

কফিও উপকারী
কফির মূল উপাদান হল ক্যাফিন। আর এই উপাদান কিন্তু মনের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের গুণে হার্টও থাকে সুস্থ-সবল। সেই সঙ্গে মেলে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি। আর এই কারণেই নিয়মিত কফির কাপে চুমুক দিয়ে দিন কাটান গোটা বিশ্বের অগণিত মানুষ। তাই শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে নিয়মিত কফি খেতেই পারেন। তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না বললেই চলে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবে এই পানীয়
কফি না চা, গরমে কোনটায় দেবেন চুমুক?
এই গরমে কফির বদলে চা খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্লাড প্রেশার বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর এই গরমে প্রেশার বাড়লে যে আদতে শরীরেরই বারোটা বাজবে, এই বিষয়টা আলাদা করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই। তাই দাবদাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে চাইলে চায়ের উপরই রাখুন ভরসা।

কত কাপ চলতে পারে?
এই গরমে সারাদিনে ৩ থেকে থেকে ৪ কাপ লিকার চা চলতে পারে। আর যারা দুধ চা খেতে পছন্দ করেন, তারা দিনে ১ থেকে ২ কাপ লো ফ্যাট মিল্কে তৈরি চায়ে চুমুক দিন। এই নিয়মটা মেনে চললে কিন্তু সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে। তবে সকলে আবার কফির বদলে চা খেয়ে দিন কাটাতে পারবেন না। তাই আপনারা দিনে ১ কাপ ব্ল্যাক কফি খান। এই কাজটা করলে কিন্তু সুস্থ থাকবেন।
প্রচুর পানি পান করুন
এমন দাবদাহ পরিস্থিতিতে দিনে অন্ততপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করতেই হবে। পারলে পানির পাশাপাশি ওআরএস এবং ডাবের পানি খান। সেই সঙ্গে পাতে থাকুক হালকা খাবার এবং মৌসুমি ফল। এড়িয়ে চলুন ফাস্টফুড।
এজেড

