পবিত্র মাহে রমজান মাস রোজাদারের জন্য ইফতার একটি আনন্দের বিষয়। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে এটি একটি উৎসব। সাধারণত ইফতারে খেজুর, ফল, শরবত, পানি ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে সব দেশেই। কিন্তু দেশভেদে আয়োজন করা হয় বাহারি খাবারের। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় ঐতিহ্য ফুটে উঠে।
উত্তর–পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বিস্তৃত সমুদ্র তটরেখা রয়েছে দেশটির। চরম দরিদ্র ও অর্থসংকটে থাকা দেশটি শিক্ষা–সংস্কৃতিতেও অনেক পিছিয়ে। তবে দরিদ্র হলেও রমজান মাসে মুসলিম এই দেশটির অধিবাসীরাও বাহারি আয়োজন করে থাকেন ইফতার ও সেহেরিতে। এই মাসে আভিজাত্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
সৌদিরা ইফতারে কী খায়?
সোমালিয়ানরা ইফতারে যা খায়
সোমানিয়ানদের ইফতারে সাধারণত উটের গোশত ও দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদ থাকে। খেজুর, সমুচা, শরবত তো আছেই। তাদের একটি বিখ্যাত খাবার ওটকা, যা মূলত উটের গোশতের শুঁটকি। এটিও তাদের ইফতারের অন্যতম আয়োজন। এছাড়া রুটির মতো দেখতে একটি খাবার ইনজেরা থাকে তাদের টেবিলে। ইফতারের পর তারা আর কোনো খাবার গ্রহণ করেন না।
সোমালিয়ানরা রাতের মূল খাবার গ্রহণ করেন এশা ও তারাবিহর পর। তারাবিহ পড়ে মসজিদ থেকে ফিরে এসে গ্রহণ করেন রাতের খাবার। রাতের খাবারের শীর্ষ পদ হলো আনবোলা। এটি তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। আনবোলা রান্নায় তারা অনেক সময় ব্যয় করেন।
আরও পড়ুন
মাখন, চিনি ও চালের সঙ্গে মিশ্রিত মটরশুঁটি দিয়ে আনবোলা প্রস্তুত করা হয়। এরপর তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা চুলায় রাখা হয় যেন কাঙ্ক্ষিত স্বাদ ও ঘ্রাণ আসে। চুলা থেকে নামিয়ে কিছু চালের গুঁড়া, মাখন ও চিনি ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
সেহেরিতে আনবোলাই সবার প্রথম পছন্দ। এছাড়া তারা চাল দিয়ে নানা ধরনের খাবার প্রস্তুত করেন। চাল দিয়ে প্রস্তুত করা খামিরে মসলা ও ভেষজ মাখিয়ে তৈরি করে আরেক ধরনের খাবার। সেটাতেও কখনো আবার গোশত অথবা মাছ যোগ করেন।
অনেক সোমালিয়ানরা এলাচি ও দুধে তৈরি জিলাতিয়া হালুয়া মিশিয়ে রুটি পছন্দ করেন। তারা নানা পদের হালুয়া তৈরি করেন। সোমালিয়ার দক্ষিণের অঞ্চলগুলোতে একসালুছুমালি খুব জনপ্রিয় খাবার। এটি তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও তেল দিয়ে।
এমএইচটি

