একসময় অল্প তেলে রান্নার জন্য ননস্টিকের পাত্র ব্যবহার করতেন বেশিরভাগ মানুষ। এমন পাত্রের ট্রেন্ড ছিল রমরমা। তবে প্রযুক্তি দিন দিন আরও উন্নত হচ্ছে। অল্প তেলে রান্নার বদলে এখন মানুষ তেল ছাড়া রান্নার উপায় খুঁজছেন। ননস্টিকের জায়গায় এখন জায়গা করে নিয়েছে ‘এয়ার ফ্রায়ার’।
অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষই এয়ার ফ্রায়ার কেনার কথা ভাবছেন। কিন্তু শুধুই ভাজাভুজির জন্য এত টাকা দিয়ে এমন যন্ত্র কেনা কি উচিত হবে? রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, কেবল ভাজা নয় চাইলে এয়ার ফ্রায়ারে আরও অনেক পদ রান্না করা যায়।
বিজ্ঞাপন

বেকিং পদ
কেক, কুকিজ থেকে শুরু করে মাফিন তৈরিতে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ তেল, মাখন ইত্যাদি। এসব খাবারে কম তেল-মাখন ব্যবহার করলে নষ্ট হয়ে যায় খাবারের স্বাদ। এক্ষেত্রে স্বাদ আর স্বাস্থ্য দুটো ভালো রাখতে কাজে লাগাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ার।
ভাজাভুজি
সাধারণ আলু, বেগুন, মাছ ভাজার পাশাপাশি মুখরোচক চিকেন উইংগস তৈরি করতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারের সাহায্যে। শীত থেকে বর্ষা- চায়ের সঙ্গে “টা” বানাতে ভরসা রাখুন এই যন্ত্রে।

স্টেক
রেস্তরাঁর মতো স্টেক বাড়িতে বানাতে চাইলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, প্রিহিটেড এয়ার ফ্রায়ারে চাইলে রসালো চিকেন স্টেকও বানানো যায়।
ড্রাই ফ্রুট
একসঙ্গে অনেক ফল কিনেছেন কিন্তু বেশি দিন ফল ফ্রিজে রাখলে তো তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে কী করবেন? আঙুর, কিউই, স্ট্রবেরির মতো ফল এয়ার ফ্রায়ারে সহজে শুকিয়ে রাখতে পারেন। কোনো রকম প্রিজারভেটিভ ছাড়াই এভাবে ফলগুলো দীর্ঘ দিন ভালো থাকতে পারে।

সেদ্ধর বদলে রোস্ট
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা বেশিরভাগ সময়ই কম তেলে ভাজা, সেঁকা বা সেদ্ধ খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু রোজ রোজ তো আর একঘেয়ে খাবার খেতে ভালো লাগে না! তাই স্বাদবদল করতে সেদ্ধ খাবারেই দিতে পারেন রোস্টের টুইস্ট। এই কাজে এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
এনএম

