উৎসব আয়োজনে পায়েস রান্নার চল বেশ পুরনো। চিনি আর গুড় দুটো দিয়েই মজার এই পদটি তৈরি করা হয়। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে অনেকে এটি রান্না করেন না। ফলে দুধ ফেটে যায়। আজ চলুন গুড়ের পায়েস রান্নার সঠিক পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।
গুড়ের পায়েসের বিশেষত্ব হলো এর ঘ্রাণ। অনেকে এই পায়েস তৈরিতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতার মতো গরম মশলা ব্যবহার করে থাকেন। এতে মশাল ঘ্রাণে গুড়ের নিজস্ব ঘ্রাণ হারিয়ে যায়। অন্য দিকে, গুড় তৈরিতে সোডা ব্যবহার করা হয়। তাই গরম দুধের সঙ্গে গুড় মেশালে দুধ ফেটে যায়।
বিজ্ঞাপন
এই সমস্যাটি এড়াতে দুটি পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে গুড় আর চাল একসঙ্গে জ্বাল দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে নরম আর ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামান। হালকা গরম থাকা অবস্থায় এর সঙ্গে হালকা গরম ঘন দুধ মেশান।
দ্বিতীয় উপায়ে দুধ ও চাল একসঙ্গে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে তুলে ফেলুন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় এর সঙ্গে হালকা গরম ঘন জ্বাল দেওয়া গুড় মেশান।
গরম দুধে কখনই গুড় দেবেন না। এতে দুধ ফেটে যাবে। আবার একদম গরম গুড়ে হালকা গরম দুধ মেশালেও দুধ ফেটে যাবে। দুটো উপাদানই কুসুম গরম থাকা অবস্থায় মেশাতে হবে। মেশানো সময় চুলার জ্বাল বন্ধ রাখতে হবে। তাহলে আর দুধ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এবার চলুন গুড়ের পায়েসের রেসিপি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ
বিজ্ঞাপন
কালোজিরা চাল-১/৩ কাপ
দুধ-দেড় লিটার
গুড়-১ কাপ
পানি-দেড় কাপ
নারকেল কোড়া-১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
প্রণালি
চাল ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। দুধ আর চাল একসঙ্গে সেদ্ধ হতে দিন। এসময় চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন। ঘন ঘন নেড়ে দিন। নয়তো চাল নিচে লেগে যেতে পারে।
বলক আসার পর চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে ডাল ঘুটুনি বা হ্যান্ড ব্লেন্ডারের সাহায্যে অল্প একটু ঘুটে দিন। কোড়ানো নারিকেল মেশান। পায়েস ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন।
দুধ আর চাল জ্বাল দেওয়ার সময় অন্য একটি পাত্রে এক কাপ গুড়, দেড় কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিন।
আরও পড়ুন-
শীতকালে গুড় খাওয়ার উপকারিতা
দুটো উপাদান হালকা গরম থাকা অবস্থায় আস্তে আস্তে মেশান। এরপর চাইলে চুলায় আবার অল্প কিছুক্ষণের জন্য বসাতে পারেন। না বসালেও সমস্যা নেই।
পরিবেশনের ডিশ বা পাত্রে ঢেলে ওপরে বাদাম কুচি ছড়িয়ে ঠান্ডা করে নিন। ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন মজার গুড়ের পায়েস।
এনএম