আরিফ হকের বয়স ৩১। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ভালো পদে কাজ করছেন। বেতন পান ভালো। দেখতেও বেশ স্মার্ট। সব ভালো হওয়ার পরও আরিফের বিয়ে কিছুতেই করা হচ্ছে না। একের পর এক নারী বিয়ের প্রস্তাবে ‘না’ বলে দিচ্ছেন।
কেবল আরিফ নয়, আমাদের চারপাশে এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা এমন সমস্যার শিকার। আপনিও কি এই তালিকায় আছেন? কখনো কি ভেবেছেন, কেন কোনো নারী আপনাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন না? চলুন এর কিছু কারণ জানা যাক-
বিজ্ঞাপন
আনস্মার্ট অ্যাটিচিউড
স্মার্টনেসকে কম-বেশি সবাই প্রাধান্য দেন। বর্তমানে বেশিরভাগ নারীই গোবেচারা পুরুষ পছন্দ করেন না। বরং তারা একটু স্টাইলিশ পাত্রকেই সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন। আপনার মধ্যে কিছুটা সেকেলে ব্যাপার থাকলে, নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলুন। কথা ও কাজে স্মার্টনেস দেখান। নারীর চোখে হয়ে উঠবেন প্রিয়জন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-
সবসময় চুপ করে থাকা
অনেক পুরুষ খুব লাজুক স্বভাবের হন। এমনকি পাত্রী দেখতে দিয়ে তার দিকে চোখ তুলেও তাকান না। পুরুষের এমন আচরণ মোটেও পছন্দ করেন না নারীরা। এমন স্বভাব থাকলে বদল আনুন। পাত্রী দেখতে গেলে সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। আপনার হাসিমুখ আর আত্মবিশ্বাসই অপরপক্ষের মনে ভালোবাসার ফুল ফোটাবে।
আত্মঅহংকারে মগ্ন
কিছু পুরুষের চিত্ত অহংবোধে পরিপূর্ণ থাকে। যেখানেই যান না কেন নিজের সম্পর্কে গুণগান করতে ব্যস্ত থাকেন তারা। আর এই বিষয়টাই অনেক নারীদের অপছন্দ। এমন পুরুষকে ভালোবাসার বদলে এড়িয়ে চলাই শ্রেয় মনে করে তারা। এই বদ অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ুন। নিজের কথা বলার পাশাপাশি, অপরপক্ষের কথাও শুনুন। তার ভালো-মন্দ, পছন্দ-অপছন্দ জানতে চেষ্টা করুন। ব্যাস, বিয়ের পথটা বেশ সহজ হয়ে যাবে।
মিথ্যা বলা
অনেক পুরুষ কথায় কথায় মিথ্যা বলতে পছন্দ করেন। এমনকি তারা নিজের আয় ও কাজ নিয়েও মিথ্যা বলতে পিছপা হন না। পাত্রীপক্ষ যখন বিশদভাবে খোঁজখবর নেন তখন তার এসব মিথ্যা ধরা পড়ে যায়। আর তাতেই ভেঙে যায় বিয়ে। মিথ্যা বলার স্বভাব থাকলে বদলান। নিজেকে নিয়ে কখনো ভুল তথ্য দিয়ে কারো মন জয় করতে যাবেন না।
নেশার অভ্যাস
আপনার কি নেশা করার অভ্যাস রয়েছে? এটি কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন এমন ব্যক্তিকে কোনো নারীই জীবনসঙ্গী হিসেবে চান না। তাই এই অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন।
এনএম