কথায় বলে, ভালোবাসা বোঝে না বয়স, বর্ণ, ধর্ম। কার উচ্চতা কতটুকু সে হিসেব কষে প্রেম বা বিয়ে কোনটাই হয় না। সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুরুষের উচ্চতা একটু বেশি হয় আর নারীর উচ্চতা কিছুটা কম হয়। এখন অনেক ক্ষেত্রে উল্টোটাও হয়। অর্থাৎ স্ত্রী উচ্চতা অনেক সময় স্বামীর চেয়ে বেশিও হয়ে থাকে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, উচ্চতার তফাত হলে কী তার প্রভাব সংসার বা জীবনে পড়ে? কতখানি উচ্চতার তফাৎ থাকলে সংসার জীবন সুখের হয়? এই নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। চলুন জানা যাক-
বিজ্ঞাপন
স্বামীর উচ্চতা বেশিরভাগ সময়ই স্ত্রী’র থেকে বেশি হয়। এমনটাই দেখা যায়। ধারণা করা হয়, এতে কেবল শারীরিক নয় মানসিক সম্পর্কও নাকি দৃঢ় হয়! তবে এর সত্যতা কতটা? এই বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখতেই করা হয় গবেষণা।
আরও পড়ুন-
গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক অবশ্যই খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা নরম মনের মানুষ হন, তাদের ক্ষেত্রে উচ্চতার পার্থক্য একটু অসুবিধাজনক। উচ্চতা যদি দুজনের মানসিক যোগাযোগের পথে বাধা সৃষ্টি করে তবে তা সমস্যার কারণ বটে।
কেবল স্বামী নয়, স্ত্রীও যদি স্বামীর থেকে বেশি লম্বা হন তবে অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন। মিলনের সময় ইন্দ্রিয়ের যোগাযোগ জরুরি। উচ্চতার তারতম্য অতিরিক্ত হলে সেটা অসুবিধাজনক হয়।
উচ্চতার তারতম্য কিছু সমস্যার কারণ হলেও তা মানুষ ভেদে ভিন্ন। সবার ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি একইরকম হবে, এমনটা নয়। গবেষণা অনুযায়ী, স্ত্রী যতই স্বামীর থেকে লম্বা হোক না কেন, মনের মিল থাকলে সেই সংসার প্রেম ভালবাসায় ভরে থাকে। স্বামীর ক্ষেত্রেও তাই। উচ্চতা বেশি হোক বা কম- মনের মিলটাই আসল কথা।
দুজন মানুষের মনের মিল থাকলে উচ্চতা কখনো তাদের সুখে ভাগ বসাতে পারে না। অর্থাৎ, উচ্চতার তফাতের সঙ্গে সংসারে সুখের বিষয়টি ভিত্তিহীন।
তথ্যসূত্র- নিউজ১৮
এনএম