সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। এই কথাটা কথা হলেও। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে গেলে পুরুষদের ভূমিকা রাখতে হয়। কেননা, সংসার স্বামী কিংবা স্ত্রীর একার নয়। দুজনের গুণেই সুখী হওয়া সম্ভব।
কিছু কিছু স্ত্রীর সঙ্গে খামখেয়ালিপনায় মেতে ওঠেন। তাদের গুরুত্ব দিতে চান না, তখন স্ত্রী রেগে যান। সংসারে শুরু হয় অশান্তি। তাই এসব অভ্যাস, আচরণ সম্পর্কে আগেই ধারণা থাকা উচিত। তাহলে পুরুষরা নিজেদের সংশোধন করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
১. নেশা করে বাড়ি ফেরা
প্রায়দিনই নেশা করে বাড়ি ফেরার অভ্যাস রয়েছে নাকি? তাহলে যে আজই সাবধান হতে হবে। কারণ আপনার এহেন আচরণ থেকে যে স্ত্রীর সঙ্গে তৈরি হচ্ছে দূরত্ব। তাই এখনই সাবধান না হলে কিন্তু একদিন এই কারণে আপনাদের সম্পর্ক ভাঙতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব মদ্যপানের মতো মারণ নেশা ত্যাগ করুন। এই কাজটা করতে পারলেই ফের স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন।
২. চিৎকার-চেঁচামেচি করা
বিজ্ঞাপন
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতেই পারে। তবে তাই বলে কথায় কথায় চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলা উচিত নয়। কারণ আপনার মুখের অকথ্য ভাষা আজকের নারীরা একদমই সহ্য করবেন না। এমনকি তারা প্রথমে চুপ করে থাকলেও পরে ঠিক মুখ খুলবেন। তখন স্ত্রীর মুখে কটূ ভাষা শুনে নিজেকে সামলাতে পারবেন তো? তাই নিজের ভালো চাইলে আজ থেকে শুধরে যান। তাহলেই কিন্তু সম্পর্ককে সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
৩. স্ত্রীকে অসম্মান করা
কিছু পুরুষ আজও নারীদের ছোট করে দেখেন। আর তাদের এই হীনমন্য আচরণ নারীদের ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। তারা মুখে কিছু প্রকাশ না করলেও ভেতরে ভেতরে কুঁকড়ে যান। তাই সম্পর্কের ভালো চাইলে আজ থেকে স্ত্রীকে সম্মান দিন। তাকে ছোট ছোট বিষয়ে প্রশংসা করুন। এতেই দেখবেন খেলা ঘুরে গিয়েছে। আপনার প্রতি ভালোবাসায় গদগদে হয়ে উঠবেন স্ত্রী।
৪. নিজের মতই শেষ কথা
অনেক পুরুষই সব ব্যাপারে বড়াই করতে ভালোবাসেন। এমনকি তারা স্ত্রীর যাবতীয় বিষয়ে নাক গলান। তারা চান স্ত্রী যেন তাঁর কথায় ওঠেন-বসেন। আর স্বামীর এই ডমিনেটিং আচরণ স্ত্রীর বুকে তীরের মতো বিঁধে যায়। তারা স্বামীর থেকে দূরে চলে যেতে শুরু করেন। আর সেই কারণেই সম্পর্ককে ঘিরে ধরে শূন্যতা। তাই আপনার মধ্যেও যদি এহেন বদভ্যাস থাকে, তাহলে সাবধান হন।
৫. সময় দেওয়ার নাম নেই
জানি আপনি কাজকর্ম নিয়ে সারাদিন খুবই ব্যস্ত থাকেন। আর এই উছিলায় স্ত্রীকে সময় দেন না। তবে জেনে রাখুন, আপনার এমন বালখিল্য আচরণ কিন্তু সম্পর্ককে অন্তর থেকে শেষ করে দিতে পারে। তাই স্ত্রীর মনে ভালোবাসার নিভু নিভু প্রদীপকে ফের জ্বালাতে চাইলে তাঁকে সময় দিতে হবে বন্ধু। তাহলেই হাতেনাতে মিলবে সুফল। তাই এখন থেকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও স্ত্রীকে কিছুটা হলেও সময় দিন। এতেই খেলা ঘুরে যাবে।
এজেড