বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মহাসড়কের জমি বন্ধক, তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

মহাসড়কের জমি বন্ধক, তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ
ফাইল ছবি

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আওতাধীন সরকারি জমি কৌশলে ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনাটি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অনুসন্ধানের প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়াও মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


এ দিন আদালতে বিএফআইইউ এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

>> আরও পড়ুন: কামারখন্দে সংঘর্ষ: আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে বিএনপি নেতাকর্মীরা

জানা গেছে, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।

‘মহাসড়ক বন্ধক দেখিয়ে লুটপাট ১৫ কোটি টাকা’ শিরোনামে গত ১৬ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওবায়েদ আহমেদ বাদী হয়ে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


রিটকারি আইনজীবী জানান, মো. গোলাম ফারুক নামে একজন মহাসড়কের জায়গা বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়েছেন- এমন খবর একটি পত্রিকাসহ একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচারিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি গোলাম ফারুক একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু মহাসড়কের জমি বন্ধকের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন করি।

>> আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে রুল শুনানি বিকেলে

ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে মোটা অঙ্কের এই ঋণ বাগিয়ে নেন গোলাম ফারুক। তবে সেটি ধরা পড়ার পর আবারও দলিল সংশোধন করেন। যেখানে আগের বন্ধককৃত জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ব্যাংকে জমা দেন। পরবর্তীকালে সংশোধিত দলিলের জমিতে বন্ধকি সম্পত্তির সাইনবোর্ড স্থাপনের চেষ্টা করলে ব্যাংক জানতে পারে সেটিও ভুয়া। সংশোধিত দলিলের জমির আসল মালিক জামির আলী। ২৭ শতাংশ ওই জমি দখলে নিতে একাধিকবার তার ওপর হামলা ছাড়াও হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষে গত ১৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ফারুকসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজ আল মামুন ওরফে ফিরোজকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

এআইএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর