শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে রুল শুনানি বিকেলে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০২:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে রুল শুনানি বিকেলে

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ১০ বছর আগে জারি করা রুলের শুনানি আজ।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইলকে বিষয়টি জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, আজ রুলের বিষয়ে শুনানির জন্য তালিকায় আছে। বিকেলের দিকে শুনানি হতে পারে।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সঠিকভাবে করা এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য ২০১২ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আমরা একটা রিট করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিল। রুলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।’

জানা যায়, এরপর আমাদের পৃথক একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত র‌্যাবের কাছে চলে যায়। সেই থেকে এই ১০ বছরে এ মামলার চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। এই কারণে রুল শুনানির জন্য আবেদন করি। আদালত রুল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আজ শুনানি হবে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরের দিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


ওই ঘটনায় রুনির ভাই বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। পরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু গত ১০ বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ মামলায় রুনির বন্ধু তানভির রহমানসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

এআইএম/এমআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর