বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘জাত-পাত চিন্তা করলে উকালতি চলবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২, ১১:১৭ এএম

শেয়ার করুন:

‘জাত-পাত চিন্তা করলে উকালতি চলবে না’
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। ছবি: ঢাকা মেইল

সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের নির্বাচনসংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি তালিকায় ছিল। তবে মক্কেল না আসায় শুনানি করতে পারেননি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি অনেকটা হতাশার সুরে বলেন, ‘মামলাটি তালিকায় ছিল। শুনানি করতে পারিনি। মক্কেল আসে না, ফিও দেয় না, কী আর শুনানি করমু। আগামী রোববার এই মামলাটি শুনানির জন্য কোর্টের তালিকায় আসতে পারে, ওইদিন মক্কেল যোগাযোগ করলে শুনানি করবো।’

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেইলকে এই আইনজীবী বলেন, ‘মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। অধিকার আদায় নিয়ে সবাই মামলা করতে পারে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। এজন্য দল-মত, জাত-পাত চিন্তা করি না। কে সেক্স ওয়ার্কার্স আর কে অন্য পেশার এটা দেখলে তো উকালিত চলবে না।’


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের নির্বাচন নিয়ে রিট

সম্প্রতি সরকারের সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্কারদের সংগঠন সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ঘোষিত নির্বাচনের সময়সূচি চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি সেটি অবৈধ ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তফসিল ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি দায়ের করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি মোছা. আলেয়া বেগমের পক্ষে এটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক, উপপরিচালক, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া বেগমকে বিবাদী করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রিটে বলা হয়েছে, এই সংগঠনের সম্পাদক গঠনতন্ত্রের ২২ ধারা লঙ্ঘন করে গত ৭ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই তারিখ ঘোষণা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একা একা ঘোষণা করতে পারেন না। সাধারণ সম্পাদের এই সিদ্ধান্ত সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আরও পড়ুন: ‘আমি রাজনীতিমুক্ত বার অ্যাসোসিয়েশন চাই’

 সংগঠনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে, সংগঠনের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ হবে দুই বছর। ৩০ দিন পূর্বে সাধারণ সভা ডেকে উপদেষ্টা কমিটির সম্মতির ভিত্তিতে কমপক্ষে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিশন পরবর্তী নির্বাচনের সার্বিক কাজ হাতে নেবে, দৈনিক রুটিন কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নির্বাচন কার্যক্রম ৩০ দিনের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

 ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, এই সংগঠনের কাজ শুধু সেক্স নিয়ে নয়। সমাজের অবহেলিত নারীদের নিয়েও কাজ করে তারা। হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে। এটি একটি এনজিও এবং সরকার অনুমোদিত। প্রতি বছরই সেক্স ওয়ার্কারদের নিয়ে একটি নির্বাচন হয়। এটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। গঠনতন্ত্র আছে এদের। নির্বাচন হয়, নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতিসহ ১১ জন কার্যনির্বাহী কমিটি থাকে।

এই আইনজীবী বলেন, কিন্তু এখানে সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া বেগম যোগ-সাজস করে সংবিধানের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছে। কোনো নির্বাচন কমিশন গঠন না করে তারা নিজেরা একটি মনগড়া কমিটি করে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এটি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর