বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের নির্বাচন নিয়ে রিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২, ০১:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের নির্বাচন নিয়ে রিট

সরকারের সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্কারদের সংগঠন সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ঘোষিত নির্বাচনের সময়সূচি চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি সেটি অবৈধ ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তফসিল ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি মোছা. আলেয়া বেগমের পক্ষে এটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।


বিজ্ঞাপন


সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক, উপপরিচালক, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া বেগমকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, এই সংগঠনের সম্পাদক গঠন তন্ত্রের ২২ ধারা লঙ্ঘন করে গত ৭ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই তারিখ ঘোষণা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একা একা ঘোষণা  করতে পারেন না। সাধারণ সম্পাদের এই সিদ্ধান্ত সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের গঠন তন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
 
সংগঠনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে, সংগঠনের কার্যকরি কমিটির মেয়াদ হবে দুই বছর। ৩০ দিন পূর্বে সাধারণ সভা ডেকে উপদেষ্টা কমিটির সম্মতির ভিত্তিতে কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিশন পরবর্তী নির্বাচনের সার্বিক কাজ হাতে নেবেন দৈনিক রুটিন কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নির্বাচন কার্যক্রম ৩০ দিনের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, এই সংগঠনের কাজ শুধু সেক্স নিয়ে নয়। সমাজের অবহেলিত মহিলাদের নিয়েও কাজ করে তারা। হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে। এটি একটি এনজিও এবং সরকার অনুমোদিত। প্রতি বছরই সেক্স ওয়ার্কারদের নিয়ে একটি নির্বাচন হয়। এটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। গঠনতন্ত্র আছে এদের। নির্বাচন হয়, নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতিসহ ১১ জন কার্যনির্বাহি কমিটি থাকে।

কিন্তু এখানে সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া বেগম যোগ-সাজস করে সংবিধানের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছে। কোনো নির্বাচন কমিশন গঠন না করে তারা নিজেরা একটি মনগড়া কমিটি করে নির্বাচন করার পায়তারা করছে। এটি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর