সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। বিভিন্ন বিষয়ে রিট করে তিনি আলোচনায় আসেন। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১১ বার। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী। কিন্তু প্রতিবারই জামানত হারিয়েছেন।
প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বলয়ের বাইরের এই আইনজীবী কখনোই আশানুরূপ ভোট পাননি। তাহলে কেন বারবার নির্বাচন করছেন, কেন আইনজীবীদের নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছেন, বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে তার ভাবনাই বা কী- এসব বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেইলের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার আমিনুল ইসলাম মল্লিক।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মেইল: কেন বারবার নির্বাচন করছেন?
ইউনুছ আলী আকন্দ: আমার এই নির্বাচন প্রতিবাদস্বরূপ। আমি চাই সুপ্রিম কোর্ট বার রাজনীতিমুক্ত হোক। নিরেট স্বচ্ছ একটি পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান হোক। রাজনীতিমুক্ত বার সবার কাম্য। রাজনীতি করে কিছু আইনজীবী ফায়দা লুটছেন।
ঢাকা মেইল: এযাবত কতটা নির্বাচনে অংশ নিলেন, হারলেন কতবার?
ইউনুছ আলী আকন্দ: এবার দিয়ে মোট ১২ বার নির্বাচনে অংশ নিলাম, সভাপতি পদে। ১১ বার পরাজিত হয়েছি। আমি শুধু ভোট করছি প্রতিবাদ হিসেবে। আমি রাজনীতিমুক্ত বার অ্যাসোসিয়েশন চাই। দলমতের ওপরে উঠে সবার অংশ থাকুক এ সমিতিতে, এমনটিই চাই।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মেইল: আইনজীবীরা আপানাকে কেন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন না?
ইউনুছ আলী আকন্দ: আমি রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি যারা করেন, তাদের ভোট পাই না। সুপ্রিম কোর্ট বার মূলত রাজনৈতিক প্রভাবে চলছে। সেটা হোক আওয়ামী লীগ, হোক বিএনপি। দুইটা ভাগে বিভক্ত হয়ে আইনজীবীরা ভোট দিচ্ছেন। কেউ আওয়ামী লীগের কেউবা বিএনপির হয়ে।
ঢাকা মেইল: এসব নিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কী না?
ইউনুছ আলী আকন্দ: বারের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙন করার অভিযোগ এনে আমি ২০১২ সালে একটি রিট করেছিলাম। শুনানি হয়েছে। আদালত আমার পক্ষে রুল জারি করেছেন। বলেছেন, কেন আমাকে বারের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। শুধু তাই না, আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি আবেদন দিয়েছি। কিন্তু আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়নি।
ঢাকা মেইল: ভোটারদের উদ্দেশ্যে কী বলতে চান?
ইউনুছ আলী আকন্দ: আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। আমি গত ১১ বছর যাবত নির্বাচন করছি। প্রিয় আইনজীবী ভাই-বোনেরা আমাকে নির্বাচিত করুন।
এআইএম/জেবি