শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ধানের শীষ নিয়ে এমপি হতে চান যেসব আইনজীবী

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

BNP
ধানের শীষ নিয়ে এমপি হতে চাওয়া কয়েকজন আইনজীবী। ছবি কোলাজ: ঢাকা মেইল

দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী বছরের শুরুতে এই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনি ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উপস্থিতি কোথাও না থাকায় রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে সক্রিয় দল বিএনপি। প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির সামনে বড় সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। 

বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে দলের নেতাদের পাশাপাশি সক্রিয় পেশাজীবীরাও। স্বাভাবিকভাবেই বরাবরের মতো এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন আইনজীবীরা। ইতোমধ্যে ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু তারকা আইনজীবী। জনমত গড়তে নিজ এলাকায় সফর করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতিসহ জাঁদরেল আইনজীবীরা।


বিজ্ঞাপন


বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পেতে চান- এমন বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে ঢাকা মেইলের। তারা বলছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরত দিতে তারা সক্রিয় ছিলেন। দলের দুর্দিনে ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তারা কাজ করেছেন। এবার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে সুযোগ সামনে এসেছে, সেখানে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে বলে তারা আশা করছেন।

আরও পড়ুন

হাইকমান্ডের ‘মনিটরিংয়ে’ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা!

বিএনপির মনোয়ননপ্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সেক্রেটারি গাজী তৌহিদুর ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান


বিজ্ঞাপন


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চান। তিনি ঘনঘন সফর করছেন নিজ এলাকায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন এই আইনজীবী।

BNP2
এবারের নির্বাচনে আশা দেখছে বিএনপি। ছবি: সংগৃহীত

আসাদুজ্জামান এর আগেও এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা শোনা যায়। এবারের নির্বাচনেও তিনি ধানের শীষ পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন

বরিশাল-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তিনবারের সভাপতি।  তাকে ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

ভোট নিয়ে তর সইছে না বিএনপির

প্রবীণ এই আইনজীবী এলাকার সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ রক্ষা করছেন। সময় পেলেই ছুটে যাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। এলাকার জনকল্যাণমূলক কাজে আগে থেকেই তিনি সম্পৃক্ত। নির্বাচন সামনে রেখে সেটা আরও জোরদার করেছেন।

ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হতে কাজ শুরু করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অনেকটা আশাবাদী।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রাম) আসন থেকে এবারও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি এর আগেও দুইবার ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে এবার ফজলুর রহমান আশা দেখছেন। যদিও ৫ আগস্ট পরবর্তী তার বিভিন্ন অসংলগ্ন বক্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করছে। দলের মধ্যেও তাকে নিয়ে রয়েছে ক্ষোভ। শেষ পর্যন্ত তিনি এবার ধানের শীষ পাবেন কি না এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

BNP3
তৃণমূলে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ছবি: সংগৃহীত

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ২০১৮ সালে তিনি এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাচিত সিনেট সদস্য। ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক আগে থেকে এলাকায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গাজী কামরুল ইসলাম সজল

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল। আইন পেশার কারণে ঢাকায় থাকলেও বিভিন্ন দিবস ও সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রায়ই তিনি এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে যাচ্ছেন।

গাজী কামরুল ইসলাম সজল ঢাকা মেইলকে বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে আমার ছাত্ররাজনীতির সূচনা। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। দল আমাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে বরিশাল-১ আসনকে একটি সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত, মাদকমুক্ত আধুনিক, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত নির্বাচনী আসনে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ।

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম

ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক। নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় সরব রয়েছেন এই বিএনপির নেতা।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব। বিএনপিপন্থী এই আইনজীবী নিজ নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

Mohammod

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

বিএনপির আলোচিত নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন চাচ্ছেন। তিনি অনেক দিন ধরেই এলাকায় কাজ করছেন। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়েও পরিচিত মুখ। টকশোতে নিয়মিত কথা বলেন। বিএনপির দুর্দিনেও তিনি দলের পক্ষে নির্ভয়ে কাজ করেছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য এবার আশা করছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।  

ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

তিনি সাবেক স্পিকার এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে। সাবেক স্পিকার বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। ফলে পঞ্চগড়-২ আসনে ছেলে নওশাদ জমিরের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা)  সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী মনোনয়ন প্রত্যাশী। রাগীবের বাবা আব্দুর রউফ চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, নির্লোভ ও সৎ রাজনীতিবিদ। তিনি দুবার এমপি থাকাকালীন এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। বাবার পথ ধরেই হাঁটতে চান রাগীব। আগামী নির্বাচনে এই আসনে তিনি ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

আরও পড়ুন

কোথায় হারালেন ‘পল্টি’ দেওয়া সেই নেতারা?

ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল। একই আসন থেকে মনোনয়ন চান বিএনপির অন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। তার বাবা এই আসনের সাবেক একাধিকবারের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম।

5738f6fc-0b76-40f9-a977-770fb79c03a3

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে মনোনয়ন-প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। এলাকায় তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এলাকার নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছেন।

বরিশাল বিএম কলেজের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিদ্দিক উল্লাহ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি রাজনীতি বলতে বুঝি মানুষের পাশে থাকা, মানুষের কষ্টে পাশে দাঁড়ানো। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে আমাদের প্রিয় চরফ্যাশন ও মনপুরাকে মুক্ত করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। হাতে হাত রেখে একসাথে গড়তে চাই একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক সমাজ। আমি থাকতে চাই গরিব-দুঃখী মানুষের হৃদয়ের গভীরে, ভালোবাসা আর ভরসা নিয়ে। দল আমাকে মনোয়ন দিলে আমি ভোলা-৪ আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারব, এটা আমার অঙ্গীকার।

এই আইনজীবী সারাদেশে হাজার হাজার মানুষের চাকরির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, বঞ্চিত বিগত বিসিএসে ২৫৯ জনের মধ্যে একশত দশ জনের মামলা করেছেন। যারা ইতিমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি এলাকায় বেশ উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত হয়েছেন। চরফ্যাশন উপজেলা নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দুলারহাটে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ, চরফ্যাশন উপজেলার বসিরহাট থেকে দশমিনা উপজেলা হাজিরহাটে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও নানাবিধ উন্নয়নমূলক করেছেন। উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতষ্ঠান নিয়ে।

অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ

যশোর-৪ আসন (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঋণখেলাপি, দুর্নীতির অভিযোগ আছে এমন কাউকে দল মনোনয়ন দেবে না বলে জানি। সেক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজের তরুণ ও ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন পাবেন। আমি ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

BNP1
নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, ইব্রাহিম খলিল ও জামিলুল হক ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাডভোকেট এবিএম ইব্রাহিম খলিল

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য এবি এম ইব্রাহিম খলিল ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন -দৌলতখান) আসন থেকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চান। নিজ এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহত ৩৬ পরিবারকে বাড়িঘর নির্মাণসহ সামগ্রিক দায়িত্ব নিয়েছেন। 

ইব্রাহিম খলিল বলেন, নিজ দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব ইনশাআল্লাহ। নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে ভোলা বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন। চাঁদাবাজি, দখলমুক্ত, ধর্ষণ ও রাহাজানিমুক্ত সমাজ গঠন করবো এবং মাদক নির্মূলে ভূমিকা রাখব। 

এ এম জামিউল হক ফয়সাল

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী- বাজিতপুর) আসনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চান। তিনি জানান, মনোনয়ন পেলে আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। হাওরের শিক্ষা ও অবকাঠামো নির্মাণে ভূমিকা রাখতে চান বলেও জানান তিনি। 

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর