বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদে ১০ দিনে খতমে তারাবি, তৃপ্ত মুসল্লিরা

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৪ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ফাইল ছবি

পবিত্র রমজানে রাজধানীর প্রায় সব মসজিদেই খতমে তারাবি হয়। তবে বেশির ভাগ মসজিদে ২৭ দিনে খতমে তারাবি হলেও সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদে তারাবি হয় ১০ দিনে। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদে ২০১৩ সাল থেকে ১০ দিনে খতমে তারাবি হয়ে আসছে। এখানকার মুসল্লিদের বড় একটি অংশ আইনজীবী এবং আইনাঙ্গন সংশ্লিষ্ট। তারা দশ দিনে খতম শেষ করে বেশ তৃপ্ত বলে জানিয়েছেন।  

এই মসজিদে খতম তারাবির সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফ উজ জামান। তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমি দশ দিন তারাবির সার্বিক খেদমত করে আসছি। একইসঙ্গে আমরা প্রতি রোজায় ইফতারের আয়োজন করে থাকি। রোজদাররা এখানে ইফতার করে সালাতুল মাগরিব আদায় করেন। আনন্দঘন পরিবেশ। সবাই এটি উপভোগ করেন।  


বিজ্ঞাপন


এবার এই মসজিদে তারাবি নামাজে ইমামতি করছেন মাওলানা আবু জাফর মো সালেহ, শফিকুল ইসলাম ও সাবিতুর রহমান।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম সুমন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি গত বছর থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদে দশ দিনের খতম তারাবি পড়ছি। ভালো লাগে এই তারাবিতে অংশ নিয়ে। ২৭ দিন না পড়ে দশ দিনেই পবিত্র কোরআন শরিফ খতম হয় এখানে। এশার নামাজ পরে এখানকার তারাবি শুরু হয়। শেষ হয় রাত দশটার দিনে।

এই আইনজীবী বলেন, আড়াই থেকে পৌনে তিন ঘণ্টা সময় লাগে এই নামাজ শেষ করতে। ইমাম সাহেব প্রতিদিন তিন পারা করে কোরআন তেলাওয়াত করেন। আমি গতবারের মতো এবারও এই তারাবিতে অংশ নিচ্ছি। এখানে তৃপ্তি সহকারে নামাজ আদায় করি। 

আশরাফ উজ জামান বলেন, বিশ্বখ্যাত কোরআনে হাফেজ আবু রাহাত আমাদের সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদে এবারের তারাবি নামাজের ইমামতি করছেন।


বিজ্ঞাপন


হাফেজ আবু রাহাতের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সম্প্রতি কুয়েতে ১১তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের মাঝে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। দেশটির আমির নওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের শিক্ষা ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল আজিজ মাজিদ।

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর