সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

সংস্কার এড়িয়ে ভোটের দিকে গেলে এনসিপি কর্মসূচি দেবে: আখতার

মো. মেহেদী হাসান হাসিব
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৫, ০৭:৫১ এএম

শেয়ার করুন:

সংস্কার এড়িয়ে ভোটের দিকে গেলে এনসিপি কর্মসূচি দেবে: আখতার

জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না পেলেও রয়েছে ব্যাপক আলোচনায়। দলটির বয়স তিন মাস হলেও সরকার, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলগুলো এনসিপিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই আগামী নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলটির মতামতকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলের শুরুতে দেশে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা দিয়েছেন তাতে এনসিপির কোনো আপত্তি নেই, তবে এর আগে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া যেন একটি ধাপে উন্নীত হয় সেই দাবি দলটির।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ঢাকা মেইলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সংস্কারের যে ধারা চলমান সেটাকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনের দিকে তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি দেবেন। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কোনোভাবেই তারা মেনে নেবেন না। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন ছাড়াও দলের নীতিনির্ধারণী নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আখতার হোসেন। 


বিজ্ঞাপন


আপনাদের ঈদপরবর্তী কার্যক্রমগুলো কী কী-জানতে চাইলে আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সারাদেশে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক জেলা ও উপজেলায় আমরা সমন্বয় কমিটি গঠন করেছি। আমরা আশাবাদী, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পূরণ করতে পারব। ঈদের সময় আমরা সারাদেশে এক লাখের বেশি সদস্য ফরম বিক্রি করেছি, যা মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়কারীরা সংগ্রহ করেছেন। আমরা আশা করছি, তারা এই লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো। একই সঙ্গে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।

akhtar-hossain-20250216132936
আওয়ামী লীগ আমলে বারবার পুলিশের নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন আখতার হোসেন।

আখতার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ক্লাউড ফান্ডিংয়ের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছি। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আমরা মৌলিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। জনগণের মাঝে সংস্কার বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে, সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমরা একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছি, যা আমাদের সংগঠকদের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে।

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, আমরা মনে করি, ঈদের সময়টি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার একটি বড় সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এনসিপির নেতৃবৃন্দ মাঠে থাকবেন এবং ঈদের পর নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবেন।


বিজ্ঞাপন


দলের গঠনতন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, এনসিপি গঠনতন্ত্র নিয়ে আমাদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি সাধারণ সভায় আমরা অনেকদূর অগ্রসর হয়েছি। আমরা আশাবাদী, ঈদের পরপরই সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করতে পারব। আমাদের ফাইন্যান্স পলিসির খসড়াও চূড়ান্ত হয়েছে। তার ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরামর্শমূলক (কনসাল্টিং) কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা আর্থিক দিকটিও প্রকাশ করতে পারব।

akhtar-hossain
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা আখতার হোসেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব।

আখতার বলেন, সংগঠনের কাজগুলো আরও গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সংগঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো আলাদা করে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ কিছু সেল গঠন করেছি। সে সেলগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আরও কিছু সেল প্রকাশের বাকি আছে। আমরা আশাবাদী যে অল্প সময়ের মধ্যে করে ফেলতে পারব।

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়-এনসিপির অবস্থান কী? জানতে চাইলে আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন আয়োজন অবশ্যই দরকারি বিষয়, কিন্তু সেটা যেন নিচুমানের কোনো নির্বাচন না হয়। সংস্কারকে সম্পন্ন করে, সেগুলোতে ঐক্যমত্য তৈরি করে, সেগুলো বাস্তবায়নের পথকে পরিষ্কার করে যেন নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়।

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি অনেক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু তারা সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মানসিকতা প্রদর্শন করছেন, জনগণ এটা গ্রহণ করবে না। যদি সংস্কারের বিষয়ে একটা ঐকমত্য তৈরি হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো সেগুলো বাস্তবায়নে জনগণের কাছে দীর্ঘ প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে, সেগুলো বাস্তবায়নের পথকে উন্মুক্ত করে সরকারকে সহযোগিতা করে, তাহলে নির্বাচনের সময় নিয়ে আমরা কথাবার্তা বলতে পারি।

জনগণের আস্থা অর্জনে এনসিপি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে-জানতে চাইলে সদস‌্য সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই আমরা রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের প্রয়োজন, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সাংবিধানিক কাঠামো পুনর্গঠনের কথা বলে আসছি। আমরা এই প্রস্তাবনা সরকারের কাছে, জনগণের কাছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উত্থাপন করেছি। অনেক দলই আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে এবং জনসাধারণের সঙ্গে আলাপচারিতায় আমরা তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। যদি সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে সরকার নির্বাচন আয়োজনের দিকে এগোয়, তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন—

সরকারের অবস্থান কেমন দেখছেন আপনারা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার আগের তুলনায় যথেষ্ট গুছিয়ে এসেছে। আগস্টের পরবর্তী সময়ে যতটা না টালমাটাল অবস্থায় ছিল তার থেকে অনেকটা গোছানো মনে হয়েছে আমাদের কাছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা হতাশার জায়গা তৈরি হয়েছিল যখন প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল, সেখান থেকেও সরকার কিছুটা গুছিয়ে উঠেছে। ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শুরু করেছে। অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য এসেছে। মোটা দাগে বড় বড় কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়নি। সরকারের তরফ থেকে সংস্কারের বিষয়ে আন্তরিক অবস্থান রয়েছে। একই সঙ্গে বিচারের যে কার্যক্রম তা দৃশ্যমান হয়েছে। কিন্তু সেটাকে আরও কীভাবে কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন রেখেছি।

আখতার বলেন, অনেক সময় রাস্তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অনেকে ঝটিকা মিছিল করার মতো সাহস দেখাচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর তৎপরতা সঠিকভাবে থাকলে এ ধরনের ঝটিকা মিছিল করার সাহস দেখাতো না। আবার সরকারের তরফ থেকে যদি এই নিষিদ্ধ কার্যক্রমের সঙ্গে যারা যুক্ত আছে তাদের আইনের আওতায় আনা হতো, সেক্ষেত্রেও হয়তো দেশের মানুষের মধ্যে যে নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দিয়েছে তা আর থাকতো না।

তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে আগ্রহ হারাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন-এখানে এনসিপির নীতিগত অবস্থান কী এবং তরুণদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে কতটুকু সহায়ক হবে এনসিপি? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, এনসিপি তারুণ্যনির্ভর একটি দল। তারুণ্যের শক্তিতে আমরা নিজেদের সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে সারাদেশে যে কমিটিগুলো আছে সেগুলোতে তরুণদের বড় অংশগ্রহণ আমরা খেয়াল করেছি।

এছাড়া যারা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন, তাদেরও আমরা দলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু তরুণদের ব্যাপারটা হলো-তরুণরা যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে তাহলে তরুণদের হাতে বড় বড় পরিবর্তনগুলো সম্ভবপর হয়। সামগ্রিকভাবে জনগণের যে বিষয়ে কল্যাণকর হয় সে বিষয়ে তাদের মনোযোগ থাকে। আমরা সেই তরুণদের বিপুল অংশগ্রহণ খেয়াল করেছি। বাংলাদেশের পুরোনো যে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা আছে যেগুলো দেশে প্রকট হয়ে উঠেছে, চাঁদাবাজির মতো ঘটনা ঘটেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মানুষ মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে, তখন তরুণেরা অনেক সময় হতাশ হচ্ছে।

আখতার হোসেন বলেন, আমরা তরুণদের কাছে বারবার এ কথা ব্যক্ত করেছি যে, এনসিপি বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পেশীশক্তিনির্ভর যে রাজনীতি, তার বাইরে এসে রাজনীতি করতে চায়। যারা মানুষ, নাগরিক আছেন, তাদের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে রাজনীতির ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষেত্রে যে হতাশার জায়গাগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোকে কাটিয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা করছি।

স্থানীয় প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার ও দুর্নীতি নিয়ে জনমনে যে অভিযোগ তৈরি হয়েছে-সেক্ষেত্রে আপনারা ক্ষমতায় গেলে স্থানীয় প্রশাসনকে কতটা স্বাধীন রাখবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, অপরদিকে সরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে এগুলো অতীতে সবসময় দলীয়করণ হয়েছে। গত ১৬ বছরে চূড়ান্ত ঘৃণিত প্রদর্শনী আমরা খেয়াল করেছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে যতগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, সে প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্বতন্ত্রতা রক্ষা করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এনসিপি দেশের প্রশাসন, বিচার বিভাগ, বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, এনসিপি কখনো যদি সরকার গঠন করে, সেক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য সরকারি ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে পারে, তা মাথায় রেখে আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো ঢেলে সাজাব।

নারীদের নিরাপত্তা ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণে আপনাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা কী-জানতে চাইলে আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতা এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। নারীরা নিরাপত্তা সংকটে আছেন। নারী শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি পর্যন্ত পান না। রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণকে নানা দিক দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। সারাদেশে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, নারী নেতৃত্ব, নারীর অধিকারকে সুরক্ষা দেবার জন্য এনসিপির যে কার্যক্রম নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো আমরা হাতে নিয়েছি। আমাদের শীর্ষ পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি। বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি, তবু এখনো পর্যন্ত নারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। রাষ্ট্র নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক। তাদের যে নিরাপত্তা প্রয়োজন, সে নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে ব্যাপারে যেসব প্রতিষ্ঠান নারীদের কর্মসংস্থান করে থাকে তারা যেন সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে, সে প্রত্যাশা করি এবং নারী যেন তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারে সে বাস্তবতা যেন বাংলাদেশে তৈরি হয়।

রাজনীতি কি সেবার জায়গা, নাকি ক্ষমতার খেলা-আপনি ব্যক্তিগতভাবে এটিকে কীভাবে দেখেন- জানতে চাইলে এনসিপির সদস‌্য সচিব বলেন, রাজনীতি একটা দায়বদ্ধতা। রাজনীতিতে যারা আসেন তারা শুরুতে আসার সময়, বিশেষ করে যারা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং একটি শক্তিশালী ক্ষমতার বিরুদ্ধে থেকে যারা রাজনীতি করেন, তারা আসলে সমাজে অনেক কিছু দেবার নিয়তে এটা শুরু করেন। আমি মনে করি, রাজনীতি সমাজের কাছে, মানুষের কাছে এবং নিজের কমিউনিটির কাছে দায়বদ্ধতা। যার মধ্যে দিয়ে নিজের কমিউনিটি, দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র যেসব বিপদের মধ্যে পড়তে থাকে সেগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিকবিদরা সর্বোচ্চ সংগ্রাম করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজনীতি কোনোভাবেই যেন ব্যক্তিস্বার্থের উপায় না হয়, বরং তা হোক সামগ্রিকভাবে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ- এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

এমএইচএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর