ইসরায়েলের হামলা থেকে বেঁচে ফিরেছে নয় বছরের ফিলিস্তিনি শিশু লিন। সে যখন নামাজ আদায় করছিল, তখনই রকেট হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রতিবেশীদের কল্যাণে প্রাণে বেঁচেছে সে। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় লিন। কিন্তু সেই পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটে তার।
শুরুতে বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিল সে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীদের চেষ্টায় প্রাণ রক্ষা পায় তার। তার সেই বেঁচে ফেরার কথা বর্ণনা করেছে ছোট্ট লিন।
বিজ্ঞাপন
লিন বলে, আমি নামাজের শেষ মুহূর্তে ছিলাম। মোটেই আশা ছিল না যে বাঁচতে পারব। শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: হাজার বছরের সি’আন মসজিদ, চীনের মুসলিম ঐহিত্যের স্মারক
লিন বলে, আমি দাদার বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করেই ওপর থেকে আমাদের মাথায় ইট, পাথর পড়তে শুরু করে। আমরা চিৎকার করতে শুরু করি। তারপরই দ্রুত প্রতিবেশীরা এসে আমাদের উদ্ধার করে।
গাজায় জীবন যাপন কতটা কঠিন, এই বয়সেই তা বুঝে গিয়েছে লিন। সে জানায়, এখানে এভাবে আমরা বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারব না। প্রতি বছরই হামলা হচ্ছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে ও আহত হচ্ছে। আমি খুশি যে এখনো বেঁচে আছি।
বিজ্ঞাপন
লিন বলে, আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। যাতে অন্যদের সাহায্য করতে পারি।
গাজার আরেক অধিবাসী আহমেদ শামলাখ বলেন, আমরা বাড়ির সামনে বসে ছিলাম যখন পাথর পড়তে শুরু করে। আমার পাশের বাড়িতেই দুইটা রকেট আঘাত করে। আমাদের সাথে বাচ্চা ছিল। বুঝতে পারছিলাম না যে কী করব। আমরা তাদের পায়ের নিচে রাখি আর আমাদের ওপর পাথর পড়তে শুরু করে।
টানা তিনদিন পাল্টাপাল্টি হামলার পর গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। গত শুক্রবার গাজায় ইসরায়েল হামলা চালালে উত্তেজনা শুরু হয়। এই হামলায় অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনই শিশু। রয়েছেন চার নারীও। তবে ইসরায়েলের কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বছরে বেতন কোটি টাকা, তবুও মিলছে না কর্মী!
ইসরায়েলের দাবি, তাদের এই হামলা ছিল ইসলামিক জিহাদের হুমকির প্রেক্ষিতে।
এমন সহিংসতার পর গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। গত ১৫ বছরে নানা নিষেধাজ্ঞায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় বিপর্যস্ত। এমন অবস্থায় সেখানে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সূত্র: বিবিসি
একে

