শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘হাসিনা-ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি 

ইউরোপে আশ্রয় চান পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

শেয়ার করুন:

ইউরোপে আশ্রয় চান পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা

দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার জেলখানায় গত ৯ মাস ধরে আটক আছেন বাংলাদেশ থেকে পলাতক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা।

নিজেকে বাংলাদেশের পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ  (চাচাতো ভাই) বলে দাবি করে আলবেনিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন সোহেল রানা। আর্থিক প্রতারণার বিভিন্ন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খবর দ্যা টেলিগ্রাফির।


বিজ্ঞাপন


গত ৯ মাস ধরে আলবেনিয়ার জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। এখন ওই দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

তবে শেখ হাসিনার আমলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই মামলার পর পরই ২০২১ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে পালান তিনি। ২০২২ সাল থেকে ইন্টারপোল তার খোঁজ চালাচ্ছে। 

বাংলাদেশের অনলাইন কেনাকাটির (ই-কমার্স) প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’-এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সোহেল রানা। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১,১০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সোহেলের বিরুদ্ধেও ঢাকায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে। বস্তুত, হাসিনার আমলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই মামলার পর পরই ২০২১ সালে বাংলাদেশ ছাড়েন তিনি। 

Untitled-1

দাবি করা হয়, ভারত হয়ে নেপালে পালানোর সময়ে পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি ভারত থেকে পর্তুগাল হয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান। 

২০২২ সাল থেকেই তার খোঁজে ‘রেড নোটিস’ জারি করে ইন্টারপোল। শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি আলবেনিয়ায় গ্রেফতার হন তিনি।

গত ৯ মাস ধরে ওই ইউরোপীয় দেশেই বন্দি রয়েছেন সোহেল। এখন সে দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। আলবেনিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি নিজেকে ‘হাসিনা-ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি করেছেন। 

তার দাবি, সেই কারণেই তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। এখন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও আলবেনিয়ার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এই প্রতারক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশের পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র এএইচএম শাহাদাত হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, সোহেল রানা এখন আলবেনিয়ার কারাগারে আছেন। তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে আলবেনিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের সেসব চিঠির কোনও জবাব দেয়নি।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর