সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের উপদেষ্টারা আরব সাগরে একটি বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এটি ওয়াশিংটনকে বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোর একটিতে পা রাখার সুযোগ করে দিতে পারে। মূলত ভারতকে চাপে ফেলতেই পাকিস্তান এ প্রস্তাব দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এক প্রতিবেদনে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। এ খবর প্রতিবেশী ভারতকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকারের লক্ষ্যে বেলুচিস্তানের গোয়াদর জেলার পাশনি শহরে একটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাশনি বন্দর শহরটি আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ বেলুচিস্তানে অবস্থিত।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে ভূমিধসে ও সেতু ভেঙে নিহত ১৩
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি ওড়ানোই হোক কিংবা শুল্কবোমার আঘাত, ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক যত মলিন হচ্ছে, তত পালটা চাল দিতে ব্যস্ত পাকিস্তান। খবর ফিনান্সিয়াল টাইমসের।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরব সাগরে ওই বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার প্রস্তাব করেছে ইসলামাবাদ।
বেসামরিক বন্দরটি বেলুচিস্তানের গোয়াদর জেলার পাসনি শহরে গড়ে উঠবে। যা কৌশলগতভাবে ইরানে ভারত কর্তৃক নির্মিত চাবাহার বন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত। বিষয়টিকে শাহবাজ শরিফ সরকারের কৌশলী চাল হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের নজর কি এবার আফ্রিকায়?
পাকিস্তানি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনিরের উপদেষ্টারা ১.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই প্রস্তাব পেশ করেছে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে।
পাসনি বন্দরে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে। নীলনকশা অনুযায়ী ওই খনিজ তোলা এবং রপ্তানির ব্যবস্থা হবে আমেরিকার তৈরি ওই বন্দরের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, অশান্ত বেলুচিস্তান প্রদেশের এই শহরটি আফগানিস্তান এবং ইরানের সীমান্তবর্তী। ফলে কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ট্রেনে রুশ হামলায় হতাহত ৩১
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই সামনে এল পাসনিতে বন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত খবর।
এদিকে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে, বৈঠকের পর ট্রাম্পকে বিরল খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ একটি কাঠের বাক্স উপহার দিচ্ছেন মুনির।
-এমএমএস

