ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল দার্জিলিংয়ে ভারীবর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধস ও সেতু ভেঙে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এক রাতের বৃষ্টিতে দার্জিলিংয়ে এ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মিরিকে লোহার সেতু ভেঙে পড়ে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুখিয়ায় মারা গেছেন চারজন।
বিজ্ঞাপন
একাধিক রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আটকা পড়েছেন পর্যটকেরা। সিকিম এবং কালিম্পঙের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজ চলছে।
আরও পড়ুন: এবার মার্কিন মুদ্রায় ট্রাম্পের ছবি
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হবে, আগেই জানিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। দার্জিলিংয়ে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। তিস্তার পানি বেড়ে উঠে এসেছে জাতীয় সড়কে। তিস্তাবাজারের কাছে ২৯ মাইল ভালুখোলায় তিস্তার পানি উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া, রাতে মিরিক এবং দুধিয়ার মাঝের লোহার সেতুর একাংশ বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে। তার ফলে শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের যোগাযোগ বন্ধ। এমনকি, দার্জিলিং শহরের সঙ্গেও যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে।

টানাবর্ষণে নদীর পানি বেড়ে ডুবে গেছে মহাসড়ক
মিরিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কার্শিয়াং) বলেন, মিরিকে পাঁচটি মৃতদেহ ইতিমধ্যে আমরা উদ্ধার করেছি। দু’টি মরদেহ আগে উদ্ধার করা হয়েছে। সুখিয়ায় আরও চারজনের মৃত্যুর কথা শুনেছি। উদ্ধারকাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ভারতকে চাপে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রকে বন্দর নির্মাণে প্রস্তাব পাকিস্তানের
তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে খুব সমস্যা হচ্ছে। রোহিণীর রাস্তা পুরো বন্ধ। দিলারামের দিকটাও বন্ধ। মিরিকে যারা আটকে আছেন, তাদের বার করার চেষ্টা করছি আমরা। বাসিন্দাদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে।
পরে মোট ১৩ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে পুলিশ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, দিলারামের কাছে রাস্তায় ধস নেমেছে। দার্জিলিংয়ে যাতায়াতের প্রধান সড়ক সেই কারণে অবরুদ্ধ। এ ছাড়া, কালিম্পং এবং সিকিমের দিকে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান নতুন করে তীব্র উত্তেজনা, যুদ্ধের হুমকি-পাল্টা হুঁশিয়ারি
দুর্যোগে দিশাহারা বন্যপ্রাণীরাও। জঙ্গল থেকে গ্রামের দিকে চলে আসছে তারা। দু’টি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক নদীর পানি বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।
দার্জিলিংয়ে যারা ঘুরতে যান, তাদের কাছে পরিচিত নাম রোহিণী রোড। শনিবার রাতের বৃষ্টিতে সেই রাস্তার অবস্থাও হয়েছে করুণ। রাস্তার একাংশ ধসে নদীর দিকে নেমে গেছে।
পর্যটকদের জন্য আপাতত রক গার্ডেন এবং টাইগার হিল বন্ধ করেেছে প্রশাসন। দুর্যোগে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
-এমএমএস

