দক্ষিণ এশিয়ার জোট সার্ক মূলত ২০১৬ সাল থেকে অকার্যকর হয়ে আছে। বর্তমান সময়ে এ জোটের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে ভারত, এ কারণে সার্কের ‘পুনর্জাগরণ’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দেশটির সংসদে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটি জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন দেশটির এমপিরা।
বিজ্ঞাপন
ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদের পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শনিবার (২২ মার্চ) জয়শঙ্কর এ বৈঠক করেন। এতে তিনি এই জোটটির কার্যক্রম আবারো শুরু করার ইঙ্গিত দেন। খবর দ্য হিন্দুর।
বৈঠকে বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান এতে প্রাধান্য পায়। এছাড়া তারা মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ও এ নিয়ে ভারতের প্রস্তুতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার জোট সার্কের ‘পুনর্জাগরণ’ নিয়ে আলোচনা করেন।
সংসদের পরামর্শক কমিটির কাছে জয়শঙ্কর এ সময় আরো বলেন, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের মানুষের মধ্যে শক্তিশালী যে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল, সে সম্পর্কে ভারত অবগত ছিল- তবে এ বিষয়ে ভারত কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।
জয়শঙ্কর কমিটির কাছে দাবি করেন, স্বৈরাচার হাসিনাকে প্রভাবিত করার মতো ‘প্রয়োজনীয় প্রভাব’ তাদের ছিল না। তারা হাসিনাকে শুধুমাত্র ‘পরামর্শ’ দিতে পারতেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের একটি সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিবিসি ওয়ার্ল্ডের ‘হার্ড টক’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুর্ক জানান, বাংলাদেশের নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে না যেতে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা।
তিনি দাবি করেন, ওই সময় সতর্কতা দেওয়া হয়, নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে গেলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করা হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পরবর্তীতে অবশ্য জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক সেনাবাহিনীকে এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। এর বদলে তৎকালীন হাসিনা সরকারকে তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
দ্য হিন্দু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটি জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান এতে প্রাধান্য পায়। এছাড়া তারা মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ও এ নিয়ে ভারতের প্রস্তুতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার জোট সার্কের ‘পুনর্জাগরণ’ নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে তিনি এই জোটটির কার্যক্রম আবারো শুরু করার ইঙ্গিত দেন। ২০১৬ সাল থেকে সার্ক অকার্যকর হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক
বৈঠকে পররাষ্ট্র বিষয়ক এই কমিটির সদস্যরা ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোয় চীনের ‘প্রভাব বিস্তার’ নিয়েও আলোচনা করেন।
তারা জয়শঙ্করের কাছে জানতে চান, সামনের দশকে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও নেপালে চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারত কী করার পরিকল্পনা করছে।
-এমএমএস