শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

পাকিস্তানে নির্বাচনে প্রকৃত বিজয়ীকে ফল ফিরিয়ে দিলেন জামায়াত নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

পাকিস্তানে নির্বাচনে প্রকৃত বিজয়ীকে ফল ফিরিয়ে দিলেন জামায়াত নেতা
সংবাদ সম্মেলনে নাঈম উর রহমান। ছবি: জিও টিভি

পাকিস্তানে সম্প্রতি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জামায়াতে ইসলামি (জেআই) করাচির প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমানকে জয়ী ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের তথ্যে তিনি দেখতে পান যে, তাকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিজয়ী হয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরপরই তিনি তার আসন পিটিআই প্রার্থীর কাছে ফিরিয়ে দেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাফিজ নাঈম-উর-রহমান ঘোষণা করেছেন, তিনি কথিত কারচুপির জন্য প্রাদেশিক পরিষদের আসনটি পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি হচ্ছে পাকিস্তানে!

খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা ‘ফরম ৪৭’ অনুযায়ী, হাফিজ নাঈম করাচির পিএস-১২৯ নম্বরধারী ওই আসনে ২৬ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এই আসনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারির ভোট দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ৩৫৭টি। 

তবে জেআই নেতা হাফিজ নাঈম বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা ‘ফরম ৪৭’-এ পিটিআই-সমর্থিত সাইফ বারির ভোট কম দেখানো হয়েছে। এর আগে ফরম ৪৫ এ যে তথ্য ছিল সেটিই মেনে নিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামির এই নেতা বলেন, ‘আমি এই আসনটি ছেড়ে দিচ্ছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারি সত্যিকারের পদ্ধতিতে জয়ী হয়েছেন। তার ভোট ৩১ হাজার থেকে কমিয়ে ১১ হাজার দেখানো হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন


নাঈম আরও জানান, শুধু তার ভোটই বাড়ায়নি নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি এমকিউএম-পি প্রার্থীর ভোট ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার দেখানো হয়েছে। যার ফলে সেখানে প্রকৃত বিজয়ী পিটিআই সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী দ্বিতীয় নম্বরেও ছিলেন না।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ইসলামপন্থী দলগুলোর ভরাডুবির কারণ কী?

আসন ছেড়ে দেওয়ায় নাঈমের প্রশংসা করেছে পিটিআই। কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে হাফিজ নাঈমের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে অন্য রাজনৈতিক প্রার্থীদের কাছ থেকে একই ধরনের সততা দেখানোর আহ্বান জানানো হয়।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘স্বচ্ছতা ছাড়া গণতন্ত্র হয় না।’

সম্ভাব্য জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করে নিতে পারে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদে প্রত্যেক দল থেকে আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সমাধান মেলেনি পাকিস্তানের সরকার গঠনের ক্ষেত্রে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর