শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

হুথি হামলা লোহিত সাগরে, জার্মানিতে বন্ধ টেসলার কারখানা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৪ এএম

শেয়ার করুন:

হুথি হামলা লোহিত সাগরে, জার্মানিতে বন্ধ টেসলার কারখানা!
বর্লিনের কাছে টেসলার কারখানা। ছবি: ডিপিএ/ডয়চে ভেলে

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেকটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। জার্মানিতে সাময়কি সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ সংস্থা টেসলার কারখানা।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে টেসলা জার্মানিতে ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীরা পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। ফলে জাহাজগুলো আর ওই রাস্তায় যাচ্ছে না। এর প্রভাবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বার্লিনের কাছে টেসলার গাড়ি তৈরির কারখানা।

আরও পড়ুন: হুথি দমনে লোহিত সাগরে কেন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে নেই চীন?

টেসলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'যন্ত্রাংশ কম থাকায় আমরা জার্মানির কারখানায় গাড়ি উৎপাদনের কাজ ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখছি।'

কোম্পানি জানিয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের এই সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

টেসলা বলেছে, লোহিত সাগরে এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজগুলো এখন কেপ অফ গুড হোপ দিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে টেসলার কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব

লোহিত সাগরে হুথির আক্রমণ শুরুর পর টেসলাই প্রথম কোম্পানি যারা কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিল। হুথিদের আক্রমণের প্রভাব অনেক কারখানার উপরেই পড়ছে। চীনের অন্যতম বড় গাড়ির কারখানা এবং সুইডেনের হোম ফার্নিশিং কারখানা গ্রাহকদের জানিয়েছে, তাদের কাছে জিনিস পৌঁছাতে দেরি হবে।

বিশ্বের বড় শিপিং কোম্পানিগুলি এখন সুয়েজ খাল ব্যবহার করছে না। এই রাস্তা দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ জাহাজ চলাচল করে।

প্রায় সব বড় শিপিং কোম্পানি কেপ এফ গুড হোপ দিয়ে তাদের জাহাজ পাঠাচ্ছে। এর ফলে শুধু যে ১০ দিন বেশি সময় লাগছে তাই নয়, এতে খরচও হচ্ছে অনেক বেশি। এশিয়া থেকে ইউরোপ যেতে নয় লাখ ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত জ্বালানি লাগছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি জাহাজে হামলার হুমকি হুথিদের

টেসলা জানিয়েছে, এর ফলে সরবরাহ চক্র ভেঙে গেছে। ২০২২ সালের মে মাস থেকে বর্লিনের কাছের কারখানায় উৎপাদন শুরু করে টেসলা। সেখানে ১১ হাজার পাঁচশ কর্মী কাজ করেন।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর