শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

১০ বছর ধরে মাকে খুঁজছেন সুইজারল্যান্ডের তরুণী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

১০ বছর ধরে মাকে খুঁজছেন সুইজারল্যান্ডের তরুণী!
বিদ্যা ফিলিপন। ছবি: এএনআই

জন্মের পর থেকেই মাকে চোখে দেখেননি সুইজারল্যান্ডের তরুণী। তার মা নাকি অনাথ আশ্রমের দরজার সামনে তাকে রেখে চলে গিয়েছিলেন। এখনও নিরুদ্দেশ তিনি। মায়ের সন্ধানে সুইজারল্যান্ড থেকে ভারতে আসেন বিদ্যা। দশ বছর ধরে মায়ের সন্ধান করছেন তিনি।

১৯৯৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে জন্ম বিদ্যা ফিলিপনের। জন্মের পর ‘মিশনারিস অফ চ্যারিটি’র একটি শাখায় বিদ্যাকে রেখে চলে যান তার মা। তার পর সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি দত্তক নেন বিদ্যাকে।


বিজ্ঞাপন


ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এর বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, জন্মের পর প্রায় এক বছর মুম্বাইয়ের ‘মিশনারিস অফ চ্যারিটি’র ভিলে পার্লে এলাকার শাখায় থেকেছিলেন বিদ্যা। ১৯৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি বিদ্যাকে দত্তক নিয়ে মুম্বাই থেকে সেদেশে চলে যান। সেখানেই স্কুল-কলেজের পড়াশোনা শেষ করেছেন বিদ্যা।

আরও পড়ুন: চীনে অপারেশন চলাকালীন রোগীকে ঘুষি

পড়াশোনার পর বিয়েও করেন বিদ্যা। স্বামীকে নিয়েই মায়ের সন্ধানে সুইজারল্যান্ড থেকে মুম্বাই ফেরেন। ভিলে পার্লে এলাকার ‘মিশনারিস অফ চ্যারিটি’র যে শাখায় বিদ্যাকে তার মা রেখে গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে প্রথমে খোঁজ নেন তরুণী।

‘মিশনারিস অফ চ্যারিটি’র তরফে বিদ্যাকে একটি ঠিকানা দেওয়া হয়। বিদ্যার মা সেখানে থাকতে পারেন বলে অনুমান করেন শাখার কর্মীরা। মুম্বাইয়ের দাহিসার এলাকার সেই ঠিকানায় যান বিদ্যা। কিন্তু সেখানে মাকে খুঁজে পাননি। মাকে খুঁজে পেতে মুম্বাইয়ের এক আইনজীবীর সাহায্য নেন বিদ্যা। তবে ১০ বছর ধরে সন্ধান চালানোর পরও মায়ের খোঁজ পাননি তিনি।


বিজ্ঞাপন


বিদ্যার মায়ের প্রসঙ্গে ওই আইনজীবী জানান, মুম্বাই এত বড় জায়গা, লোকজন সবসময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাসা বদল করছেন। ফলে বিদ্যার মায়ের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠছে। আইনজীবীর বক্তব্য, ‘বিদ্যার মায়ের ব্যাপারে আমরা অনেক খবর পেয়েছি। আশা করছি সেই সূত্রগুলো ধরে এগোলে খুব তাড়াতাড়ি তার খোঁজ পাওয়া যাবে।’

আরও পড়ুন: শীতপ্রধান দেশে তুষার পড়ে কেন?

১০ বছর ধরে খোঁজ চালানোর পরেও আশাহত হননি বিদ্যা। তিনি বলেন, ‘মাকে এখনও খুঁজে পাইনি। কিন্তু এতটুকু জানতে পেরেছি যে তার পদবি ছিল কাম্বলি। মুম্বাইয়ের অধিবাসীদের কাছে আমার অনুরোধ সকলেই যেন মাকে খুঁজে বার করতে সাহায্য করেন।’

ওই আইনজীবী জানান, মুম্বাইয়ের এক সমাজকর্মী বিদ্যার মায়ের বিষয়ে বহু তথ্য দিয়েছেন। এমনকি এক জনের খোঁজও পাওয়া গেছে যার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিদ্যার মায়ের ব্যাপারে কোনও খবর পাওয়া যেতে পারে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর