রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

হামাসের শক্তি দেখে অবাক সেনারা: ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

হামাসের শক্তি দেখে অবাক সেনারা: ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলি যান লক্ষ্য করে হামাসের অস্ত্র। ছবি: আনাদুলু এজেন্সি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা শাসন করে সশস্ত্র রাজনৈতিক দল হামাস। তাদেরকে নির্মূলে গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এতে খুব কমই সাফল্য পেয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বিশ্লেষক ইয়োভ জিতুন এক নিবন্ধে লিখেছেন যে, হামাসের শক্তি দেখে অবাক হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

রোববার ইসরায়েলি সামরিক বিশ্লেষক ইয়োভ জিতুনের নিবন্ধ ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথে প্রকাশিত হয়েছে। এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদুলু এজেন্সি।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: গাজায় বন্দী নয়, অতিথি হয়ে ছিলাম: ইসরায়েলি নারী

তিনি লিখেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুঝতে পেরেছে যে, গাজা উপত্যকায় হামাসকে নির্মূল করা সহজ নয়। ভূমিতে হামাস কতটা শক্তিশালী তা দেখে অবাক হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এটি একটি সত্যিকারের সেনাবাহিনী। যা গত বছরগুলোতে তেলআবিবের নাকের ডগায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আন্দোলনের সামরিক সক্ষমতা নিশ্চিত করে যে কিভাবে তারা কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে প্রতিহত করছে।

আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে ৭০ শতাংশ ইসরায়েলি সেনা!


বিজ্ঞাপন


জিতুন তার নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির মধ্যে গাজা যুদ্ধ শেষ করার সময়সীমা পাঠিয়েছিল। যদিও বিষয়টি শুক্রবার ওয়াশিংটন অস্বীকার করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মোকাবেলায় হামাসের সক্ষমতার উপর আলোকপাত করতে গিয়ে জিতুন বলেন, 'তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের আরপিজি শেলসহ লক্ষাধিক অস্ত্র রয়েছে, যেগুলোকে তাদের প্রধান অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।'

আরও পড়ুন: হামাসের শীর্ষ নেতা কারা, শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু?

ইসরায়েলি এই বিশেষজ্ঞ বলেন, 'তাদের কাছে উন্নত রকেট লঞ্চার, বিস্ফোরক ড্রোন এবং আক্রমণকারী ড্রোন রয়েছে। এগুলো গত দশকে গাজা উপত্যকায় পড়ে যাওয়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্কাই রাইডার ড্রোনের অনুলিপি হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।'

জিতুনের মতে, 'হামাস যোদ্ধাদের কাছে মেশিনগান, কালাশনিকভ রাইফেল, ড্রাগনভ স্নাইপার রাইফেল, উন্নত যোগাযোগ যন্ত্র, বিভিন্ন মান ও আকারের বিস্ফোরক ডিভাইস এবং অগণিত পরিমাণ অস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা রয়েছে।'

আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজা কত বড়, কীভাবে জীবন কাটে ফিলিস্তিনিদের?

উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে জিতুন বলেন, 'বেইত হানুনে ভয়াবহ যুদ্ধগুলো ইঙ্গিত দিতে পারে যে গাজা থেকে হামাসকে নির্মুল করতে অনেক মাস সময় লাগবে।' তার মতে, যদিও হানুন হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি নয়।

জিতুন অভিজাত গোলানি ব্রিগেডের একজন সিনিয়র অফিসারকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, 'হামাস গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটালিয়ন স্থাপন করেছে।'

ইসরায়েলের এই সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেন, 'হামাস সদস্যরা সেখানে জন্মেছে এবং বেড়ে উঠেছে। তারা সেই জায়গার সঙ্গে যুক্ত এবং কখনো পালিয়ে যাবে না।'

আরও পড়ুন: মাটির নিচে ‘অন্য জগৎ’, কতটা বিস্তৃত হামাসের টানেল?

তিনি বলেন, শুজাইয়াকে হামাসমুক্ত করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এর অর্ধেকই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার। আর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর